বগুড়ায় হত্যার পর লাশ পুড়িয়েছে দুর্বৃত্তরা
প্রবীর মোহন্ত, বগুড়া: বগুড়ার নন্দীগ্রামে একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের সুপারভাইজারকে শ্বাসরোধে হত্যার পর লাশ পুড়িয়ে দিয়েছে দুর্বৃত্তরা। শুক্রবার সকালে নন্দীগ্রাম-শেরপুর সড়কের কদমকুড়ি এলাকা থেকে তার লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। নিহত রেজাউল করিম (৩৫) বগুড়া সদরের নামুজা ইউনিয়নের বামনপাড়ার হাফিজার রহমানের ছেলে। তিনি ওই প্রকল্পের বগুড়ার আদমদিঘী উপজেলায় কর্মরত ছিলেন।
বগুড়ার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার গাজিউর রহমান জানায়, নন্দীগ্রাম উপজেলার বিআরডিবি অফিসের সহকারী গ্রাম উন্নয়ন কর্মকর্তা (এআরডিও) জিল্লুর রহমানকে বেশ কিছুদিন আগে নিহত রেজাউল তার গ্রামের এক পরিচিতজনের চাকরির জন্য সাড়ে ৬ লাখ টাকা দিয়েছিলেন। তবে প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী চাকরিও হয়নি আবার টাকা ফেরত দিতেও টালবাহানা করে আসছিল জিল্লুর। বৃহস্পতিবার রাতে পাওনা টাকা নেয়ার জন্য রেজাউল নন্দীগ্রামে আসেন। এর পর থেকে তার মুঠোফোন ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
শুক্রবার সকালে নন্দীগ্রামের বুরইল ইউনিয়নের কদমকুড়ি সংলগ্ন বেজিগাড়ি এলাকায় তার পুড়িয়ে ফেলা লাশ পাওয়া যায়। গামছা দিয়ে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর আগুন ধরিয়ে তাকে নৃশংসভাবে পুড়িয়ে দেয়া হয় বলে পুলিশ জানিয়েছে। পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। ঘটনার পর থেকে বিআরডিবি কর্মকর্তা জিল্লুর পলাতক রয়েছে। পুলিশ লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে। পাওনা টাকা নিয়ে বিরোধে রেজাউল খুন হয়েছেন বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারণা করছে। সম্পাদনা : তারেক