৭০ শতাংশ ভারতীয় ২০১৯ সালেও মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চান
ইমরুল শাহেদ : শুক্রবার প্রকাশিত এক অনলাইন জরিপের ফলাফলে দেখা যায় ভারতের তরুণ সম্প্রদায়ের প্রায় ৭০ শতাংশই চায় ২০১৯ সালের নির্বাচনে আবারও নরেন্দ্র মোদি প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হন। তবে মাত্র ৬৪ শতাংশ নারী এই সরকারের সমর্থক। মার্কেটিং সংস্থা ইপসোসের সহায়তায় জরিপটি পরিচালনা করে এ্যাপ ইনশর্টস নামের একটি বার্তা সংস্থা। জরিপটি চালানো হয় ৬৩,১৪১ জনের মধ্যে। তাদের মধ্যে ৭০ শতাংশ নরেন্দ্র মোদিকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে চান, ১৭ শতাংশ চান না এবং ১৩ শতাংশ ভোট দেওয়া থেকে বিরত থাকেন। এ্যাপের মাধ্যমেই এ জরিপ চালানো হয়।
সরকারের ক্ষেত্রে তুলনামূলকভাবে সমর্থনের পরিমাণ কম। ৬৪ শতাংশ নারী মোদি সরকারকে সমর্থন করে, ১৮ শতাংশ সমর্থন করে না এবং ১৮ শতাংশ ভোটদানে বিরত থাকে। এ জরিপের নাম রাখা হয় ‘ইয়ুথ অব দ্যা ন্যাশন পুল’। জরিপটি চালানো হয় ২৫ জুলাই থেকে ৭ আগস্টের মধ্যে। জরিপে অংশগ্রহণকারী ৮০ শতাংশের বয়সই ৩৫ বছরের নিচে। ইনশর্টসের সিইও ও সহযোগী প্রতিষ্ঠাতা আজহার ইকবাল বলেন, ‘আমরা আনন্দিত এই জন্য যে, আমাদের নাগরিক তরুণরা প্রশাসন, রাজনীতি, ক্যারিয়ার, উদ্দেশ্য ও প্রযুক্তি নিয়ে কি ভাবছে তার অন্তর্নিহিত তাৎপর্য আমরা তুলে আনতে পেরেছি।’
জরিপে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে ৫০ শতাংশ কোনো কোনো রাজ্যে মদ নিষিদ্ধ করার পক্ষে মত দিয়েছেন। এ জরিপে বিভিন্ন ক্যাটাগরির প্রশ্ন ছিল। তার একটি হলো কলেজ থেকে যদি রাজনীতি নিষিদ্ধ করা হয় তাহলে কেমন হয়? এ প্রশ্নের জবাবে ৬১ শতাংশই বলেছেন, এটা ভালো হয়। ৩২ শতাংশ বলেছেন এটা হতে পারে না। ৭ শতাংশ বলেছেন, বলতে পারছি না। ছাত্রদের মধ্যে ৫৪ শতাংশই কলেজে রাজনীতি নিষিদ্ধের পক্ষে। আর বিপক্ষে আছেন ৩৭ শতাংশ। ৯ শতাংশ কোনো জবাব দেয়নি। গত দুবছর ধরে দলিত সম্প্রদায় ও সংখ্যালঘুদের উপর যে অত্যাচার চলছে তা সত্য বলে স্বীকার করেছে ৩৩ শতাংশ। ৪৬ শতাংশ বলেছে না। ২১ শতাংশ বলেছেন তারা জানেন না। এ প্রশ্নের জবাবে ৩৫ শতাংশ নারী বলেছেন, দলিত ও সংখ্যালঘুদের সঙ্গে বাজে আচরণ করা হচ্ছে। ৩৫ শতাংশ বলেছেন এটা সত্য নয়। ২৭ শতাংশ বলেছে ‘বলতে পারছি না।’
ইপসোস ইন্ডিয়ার সিইও অমিত আধারকার বলেছেন, জাতীয় নানা বিষয়ে তরুণদের সমঝদারিত্ব ও অন্তর্দৃষ্টি সত্যিকার অর্থেই উৎসাহব্যঞ্জক। তিনি বলেন, ‘সবচেয়ে বড় কথা হলো আজকের তরুণরা শিক্ষিত, প্রযুক্তি ও যুক্তিগ্রাহ্য দৃষ্টিকোণ থেকে সবকিছু বিবেচনা করে। তাদের হিসাবে ধরতেই হবে।’
বুরহান ওয়ানী নিহত হওয়ার পর কাশ্মীরে উদ্ভূত বিক্ষোভ সরকার যেভাবে মোকাবিলা করছে তা সমর্থন করেন ৪৯ শতাংশ এবং ২৪ শতাংশ এটা অনুমোদন করেন না। সূত্র : আইএএনএস