মীর কাসেমের ফাঁসি স্থগিত করার আহ্বান হিউম্যান রাইটসের
ডেস্ক রিপোর্ট: জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী কমিটির সদস্য মীর কাসেম আলীর ফাঁসির দ-াদেশ এখনই স্থগিত করা উচিত বলে মন্তব্য করেছে হিউম্যান রাইটস ওয়াচ।
হিউম্যান রাইটসের বিবৃতিতে গতকাল বলা হয়, সর্বোচ্চ আদালতে রিভিউ আবেদন খারিজ হওয়ার মানে হলো শিগগির মীর কাসেম আলীর দ- কার্যকর করা হবে।
সংস্থাটির এশিয়া ডিরেক্টর ব্রাড অ্যাডামস বিবৃতিতে বলেন, ‘বাংলাদেশ সরকার ১৯৭১ সালে বেসামরিক লোকদের উপর সংঘটিত ভয়াবহ হত্যাকা-ের ন্যায়বিচার নিশ্চিত করেছে, এটা গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। কিন্তু, এটাকে আন্তর্জাতিক মানে উন্নীত করার প্রয়োজন রয়েছে। ন্যায়বিচার নিয়ে সন্দেহ-সংশয়ের অবকাশও যদি থাকে, যেমনটা কাসেম আলীর মামলায় রয়েছে, এ অবস্থায় কর্তৃপক্ষের উচিৎ মৃত্যুদ- কার্যকর থেকে সরে আসা।’
হিউম্যান রাইটস ওয়াচ কাসেম আলীর সন্তান মীর আহমেদ বিন কাসেমকে মুক্তি কিংবা বিচারের মুখোমুখি করারও আহ্বান জানায়।
বিবৃতিতে বলা হয়, পিতা মীর কাসেমের মামলায় আইনজীবীও ছিলেন মীর আহমেদ, যাকে রাষ্ট্রীয় কর্তৃপক্ষ ৯ আগস্ট তুলে নিয়ে যায়। সাদা পোশাকের লোকজন গভীর রাতে তার পারিবারিক সদস্যদের বলেছেন, তারা সরকারি নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য। সরকার অবশ্য বলছে, মীর আহমেদ তাদের হেফাজতে নেই। তার পরিবার সরকারের কাছে অনুরোধ করেছে, সরকার যদি ফাঁসি কার্যকর করে, অন্তত পিতার জানাজায় যেন তাকে হাজির হওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়।
অ্যাডামস বলেন, ‘এটি খুব দুঃখজনক যে, দৃশ্যত কেবল মীর কাসেম আলীর সন্তান হওয়ার কারণে মীর আহমেদ বিন কাসেমকে বাংলাদেশের নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যরা তুলে নিয়ে গেছে।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অনেকে মনে করেন, কাসেম আলী দোষী এবং তারা কেবল ন্যায়বিচারের মাধ্যমে তার শাস্তি চান। অযথা বিচারের মাধ্যমে দ্রুত ফাঁসি না দিয়ে কর্তৃপক্ষের উচিত যথাযথ সাক্ষ্য-প্রমাণের ভিত্তিতে দোষী সাব্যস্ত করা।’
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের ২ নভেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের রায়ে মীর কাসেমকে মৃত্যুদ- দেওয়া হয়। এরপর গত ৮ মার্চ আপিলে ওই সাজাই বহাল থাকে। ৬ জুন পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর তা পুনর্বিবেচনার জন্য ১৯ জুন আবেদন করেন মীর কাসেম। সর্বশেষ ৩০ আগস্ট তার রিভিউ আবেদনও খারিজ করে দেয় আপিল বিভাগ। সম্পাদনা: মোরশেদ