১২ দফ দাবিতে ভারতে একযোগে ধর্মঘটে ১৮ কোটি শ্রমিক
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: ১২ দফা দাবিতে দেশব্যাপী ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলো। শুক্রবার থেকে এ ধর্মঘট শুরু হয়। সারা দেশ অচল করে দেওয়ার ঘোষণা দিয়ে এ ধর্মঘট ডাক দিয়েছে দেশটির ট্রেড ইউনিয়নগুলো। বেতন-ভাতা বাড়ানো ও শ্রমিক অধিকারের দাবিতে এই ধর্মঘট ডাকা হয়েছে। ধর্মঘটের সমর্থনে মিছিল এবং সড়ক অবরোধ করলে সিপিএম নেতা ও শিলিগুড়ির মেয়র অশোক ভট্টাচার্যসহ অন্যদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। বিবিসি, এনডিটিভি
শুক্রবার ধর্মঘট শুরু হওয়ার পর ভারতের সবগুলো ব্যাংকের কার্যক্রম বন্ধ আছে। তবে এটিএম বুথগুলো খোলা থাকায় মানুষ সেখান থেকে অর্থ তুলতে পারছেন।
পৃথকভাবে ধর্মঘট শুরু করেছেন ভারতের নার্স ও রেডিওলজিস্টরা। তারাও বেতন বৃদ্ধির দাবিতে ধর্মঘট করছেন।
কেরালার সরকারি অফিস, স্কুল-কলেজ ও গণপরিবহন বন্ধ রয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, জোর করে কল-কারখানা বন্ধ রাখতে দেওয়া হবে না। কর্নাটকে কংগ্রেসের রাজ্য সরকার ধর্মঘটে সমর্থন জানিয়েছে। স্কুল-কলেজ বন্ধ আছে। তবে আংশিকভাবে গণপরিবহন চলাচল করছে। শ্রমিক নেতাদের দাবি, ১৮ কোটিরও বেশি শ্রমিক-কর্মচারী এই ধর্মঘটে অংশ নেবেন। ভারতজুড়ে ব্যাংকিং, কয়লা, পরিবহনখাতসহ বিভিন্ন শিল্পাঞ্চল পুরোপুরি বন্ধ থাকবে। প্রায় দুবছর আগে ক্ষমতায় আসা নরেন্দ্র মোদি সরকারের জন্য অর্থনৈতিক খাতে এ যাবৎ কালের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ এটি। কিন্তু দেশের আর্থিক সংস্কারের প্রক্রিয়ায় এই হরতাল বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে, এই আশঙ্কায় ‘ভারত বনধ’ ঠেকানোর জন্য শেষ মুহুর্তেও চেষ্টা চালিয়ে গেছে কেন্দ্রীয় সরকার। ধর্মঘট শুরু হওয়ার মাত্র কয়েক ঘণ্টা আগেও শ্রমিক-কর্মচারীদের জন্য বাড়তি সুযোগ সুবিধা ঘোষণা করেছেন অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলি। সরকার শ্রমিকদের ন্যূনতম পারিশ্রমিক প্রতিদিন ৩৫০ রুপি করছে। তাছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের সব নিম্নস্তরের কর্মীদের গত দু’বছরের বকেয়া বোনাসও অবিলম্বে মিটিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে জানান তিনি।
নরেন্দ্র মোদির নেতৃত্বাধীন সরকার একতরফাভাবে শ্রম-আইনে সংস্কার চালাচ্ছে ও শ্রমিকদের সুবিধে ছাঁটাই করে চলেছে, এই অভিযোগে শুক্রবার থেকে চব্বিশ ঘণ্টার ‘ভারত বনধ’-এ সামিল হয়েছে দেশের প্রধান দশটি ট্রেড ইউনিয়ন। গত বছরও ঠিক একই তারিখেই ধর্মঘট ডেকেছিল তারা, কিন্তু এবারের ‘ভারত বনধ’ অনেক বেশি প্রভাব ফেলবে বলে দাবি করেছেন ট্রেড ইউনিয়নগুলোর যৌথ প্ল্যাটফর্মের আহ্বায়ক তপন সেন। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ