সামিয়ার ‘অনার কিলিং’ তদন্তে অবহেলার অভিযোগ, পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেফতার
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ব্রিটিশ-পাকিস্তানি নারী সামিয়া শহিদের ‘অনার কিলিং’ (পারিবারিক ও ধর্মীয় সম্মান রক্ষার্থে হত্যা) তদন্তে পুলিশের অবহেলার অভিযোগ উঠেছে। পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম ডন-এর খবরে বলা হয়েছে, এরইমধ্যে সামিয়া খুনের মামলায় অবহেলা প্রদর্শনের অভিযোগে একজন পুলিশ কর্মকর্তা গ্রেফতার হয়েছেন। তার বিরুদ্ধে মামলা করারও প্রস্তুতি চলছে। ডন
উল্লেখ্য, পাকিস্তানে ধারাবাহিক অনার কিলিং-এর বাস্তবতা রয়েছে। হিউম্যান রাইটস কমিশন পাকিস্তান-এর বার্ষিক প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর পরিবারের সম্মান রক্ষার নামে পাকিস্তানে প্রায় ১১০০ নারী স্বজনদের হাতে খুন হয়েছেন। ২০১৪ সালে এ সংখ্যা ছিল ১ হাজার। আর ২০১৩ সালে এ সংখ্যা ছিল ৮৬৯। যদিও আন্তর্জাতিক আইনের আওতায় সংস্কৃতি, প্রথা, ধর্ম কিংবা ঐতিহ্য কোনও কিছুর নামেই নারীর বিরুদ্ধে সহিংসতা চালানোর যৌক্তিকতা নেই তবুও অনার কিলিংয়ের ধারাবাহিকতায় গত জুলাইয়ের ২০ তারিখে পাঞ্জাবে নিজ পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে খুন হন সামিয়া। এ ঘটনায় সামিয়ার প্রথম স্বামী চৌধুরি শাকিলকে হত্যাকারী সন্দেহে গ্রেফতার করা হয়। হত্যার সহযোগী হিসেবে আটক করা হয় তার বাবা মোহাম্মদকে। এক পর্যায়ে পাঞ্জাব পুলিশের কাছে হত্যার দায় স্বীকার করেন তার প্রাক্তন স্বামী। এ ঘটনায় দায়ের করা মামলায় আগস্টে তাদের পাকিস্তানের একটি আদালতে হাজির করে খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত করা হয়। সেই মামলার তদন্ত কাজেই পুলিশের বিরুদ্ধে অবহেলার অভিযোগ উঠেছে।
ডন এর খবরে বলা হয়েছে, তদন্তে অবহেলার কারণে মংলা পুলিশ স্টেশন থেকে ওই স্টেশনেরই একজন কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সামিয়ার ঘটনা তদন্তে নিয়োজিত পুলিশের বিশেষ তদন্ত দলের প্রধান ডিআইজি আবু বরক খোদা বক্স ডন-কে এই খবর নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানিয়েছেন, আকিল আব্বাস নামের পুলিশ কর্মকর্তাকে মামলা তদন্তে অবহেলার অভিযোগে প্রেফতার করা হয়েছে এবং তার বিরুদ্ধে দায়িত্বে অবহেলার কারণে মামলা করারও সিদ্ধান্ত হয়েছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ