জলবায়ু নিয়ে প্যারিস চুক্তিতে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থন
লিহান লিমা: প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে সমর্থন দিয়েছে চীনের শীর্ষ আইন পরিষদ। শনিবার দেশটির রাষ্ট্রীয় সংবাদ সংস্থা সিনহুয়া এ তথ্য জানায়। চীনের পাশাপাশি যুক্তরাষ্ট্রও কার্বন নিঃসরণের ঘোষণা দিতে যাচ্ছে। বিবিসি
চীন সফররত মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা বলেন, ‘আজকের এই ঐতিহাসিক প্রচেষ্টার গুরুত্ব ইতিহাস একদিন বিচার করবে’। জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুন বারাক ওবামার প্রেরণামূলক নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, ‘ওবামা ও চীনা প্রধানমন্ত্রী শি জিংপিং উভয়েই দূরদর্শী ভূমিকা গ্রহণ করেছেন। এছাড়া ফরাসী প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওঁলাদ এ উদ্যোগকে স্বাগত জানান। এদিকে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রীর মুখপাত্র বিবিসিকে বলেন, যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্যারিস জলবায়ু চুক্তিতে যুক্তরাজ্য সমর্থন দেবে। চীনের সরকারি একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘এ আমার দেশ, এ আমার বায়ু’। ধারণা করা হচ্ছে, চীনের জেজিয়াং প্রদেশের হাংজু শহরে অনুষ্ঠেয় জি-২০ সম্মেলনের আগেই যুক্তরাষ্ট্র ও চীন যৌথভাবে প্যারিস জলবায়ু চুক্তির সমর্থন দেবে। শনিবার জি-২০ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জলবায়ু পরিবর্তন সম্পর্কে সংক্ষিপ্ত ভাষণ দেবেন।
বিশ্বে সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণকারী দেশ চীন। দ্বিতীয় শীর্ষ দেশ যুক্তরাষ্ট্র। সারা বিশ্বের ৪০ শতাংশ কার্বন নিঃসরণের জন্য দায়ী তারা। চীন ও যুক্তরাষ্ট্র এ ঘোষণা দিয়ে তা বাস্তবায়ন করার পর কার্বন নিঃসরণ ৪০ শতাংশ কমে আসবে।
প্যারিস চুক্তি বিশ্বের প্রথম সম্প্রসারিত জলবায়ু চুক্তি। এ চুক্তি শুধু তখনই কার্যকরী ভূমিকা রাখতে সম্ভব হবে, যখন বিশ্বের দেশগুলো কার্বন নিঃসরণ ৫৫ শতাংশ কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে। তার প্রেক্ষিতে, বৈশ্বিক উষ্ণায়ন বৃদ্ধি ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে রাখতে গত বছর ডিসেম্বর মাসে প্যারিসে জলবায়ু সম্মেলনে কার্বন নিঃসরণ হ্রাস করতে চুক্তিকে অনুসমর্থন দিল চীন। চীনের আগে যে ২৩টি দেশ কার্বন নিঃসরণ হ্রাসের ঘোষণা দিয়েছে, তাতে মোট কার্বন নিঃসরণ কমেছে ১ শতাংশ। কারণ শিল্পে অনুন্নত এসব দেশ কার্বন নিঃসরণ করে খুবই সামান্য। সম্পাদনা: রাশিদ রিয়াজ