মিয়ানমারের নাম পরিবর্তনের প্রস্তাব
ইমরুল শাহেদ: মিয়ানমারের বিদ্রোহী গ্রুপগুলোকে নিয়ে রাজধানী নাইপিডোতে চলমান ৫ দিনের শান্তি আলোচনায় শুক্রবার উঠে এসেছে দেশটির নাম পরিবর্তনের একটি প্রস্তাব। নিউ মন স্টেট পার্টির (এনএমএসপি) চেয়ারম্যান নায়িং হেন থার প্রস্তাব করেছেন দেশটির নাম পরিবর্তনের জন্য। এর মাধ্যমে মিয়ানমারকে একটি ফেডারেল ডেমোক্রেটিক রাষ্ট্রে পরিণত করার প্রস্তাব করেছেন তিনি। মিয়ানমারে ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক শাসনের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মিয়ানমার একটি পুরনো নাম। ব্রিটিশরা দেশটিকে বলত বামা রাজ্য।’ এরপর দেশটিকে বলা হয় বার্মা। এই নামটির কার্যকারিতা শেষ হয়ে যায় ১৯৪৮ সালে স্বাধীনতা প্রাপ্তির মধ্যদিয়ে। তিনি বলেন, ‘যে নামই বলা হোক না কেন, নামটি কেবল একটি সম্প্রদায়কেই প্রতিনিধিত্ব করে। এ কথা সত্য যে, বামা নামটি এ দেশের সকল নৃ-গোষ্ঠীকে প্রতিনিধিত্ব করে না।’
শান্তি সম্মেলনে অংশগ্রহণকারী এনএমএসপিসহ সকল নৃ-গোষ্ঠী ও বিদ্রোহী গ্রুপই দেশটিকে ফেডারেল ডেমোক্রেটিক ইউনিয়নে রূপ দেওয়ার কথা বলেছেন, যাতে সকলেরই সমতা প্রতিফলিত হবে। সকলেই সমানভাবে তারা নিজেদের ভাগ্য, নিজেদের ভাষা ও সংস্কৃতি সংরক্ষণ করতে পারবেন। বেশির ভাগ নৃ-গোষ্ঠীই ২০০৮ সালে রচিত সংবিধানের সংশোধনী দাবি করেছেন। এই সংবিধানটি রচনা করেছে সামরিক জান্তা এবং তারা গত ৫০ বছর দেশটি এভাবে শাসন করেছে। কিন্তু সকল নৃ-গোষ্ঠী চান ফেডারেল ডেমোক্রেটিক রাজনৈতিক পদ্ধতির প্রবর্তন, যেখানে প্রতিফলিত হবে ফেডারেল স্বায়ত্তশাসন।
নায়িং হেন থার বর্তমান সংসদ সদস্যদেরকে একটি নতুন সংবিধানের খসড়া প্রস্তুতের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘২০০৮ সালের সংবিধানে সেনাবাহিনী নিজস্ব একটা নীতি গ্রহণ করে সংবিধান রচনা করেছেন। তারা চান সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত থাকতে। তাদের সম্মতি ছাড়া এ সংবিধান সংশোধন করা যাবে না। তার চেয়ে নতুন সংবিধান রচনা করে নেওয়াই ভাল। সামরিক জান্তা রচিত সংবিধান সংশোধনের উদ্যোগ নিয়ে অযথা সময় অপচয় করার কোনো মানে হয় না।’ সূত্র : ফ্রি রেডিও এশিয়া