প্রধানমন্ত্রী ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রির কর্মসূচি উদ্বোধন করবেন
দীপক চৌধুরী: নির্বাচনি প্রতিশ্রুতি মোতাবেক ১০ টাকা কেজিতে চাল বিক্রির সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করতে যাচ্ছে সরকার। পল্লী রেশন ডিলারদের মাধমে নির্ধারিত কার্ডধারীদের মাঝে উল্লেখিত মূল্যে মাসে ৩০ কেজি চাল বিক্রি করা হবে।
সারাদেশে ৫০ লাখ হতদরিদ্র পরিবার ৫ মাসের জন্য এ কর্মসূচির সুফল পাচ্ছেন। এ জন্য নেওয়া হয়েছে ইউনিয়নপর্যায়ে ‘হত দরিদ্রদের জন্য খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি’। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আগামী ৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০টায় কুড়িগ্রামের চিলমারী উপজেলা সদর থেকে এ কর্মসূচি উদ্বোধন করার কথা রয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী এদিন দেশের সর্বপ্রথম বন্যা ও ভাঙনকবলিত চিলমারী উপজেলায় এ কর্মসূচি উদ্বোধন করার পর চিলমারী পাইলট উচ্চবিদ্যালয় মাঠে তিনি এক সুধী সমাবেশ ও জনসভায় ভাষণ দিবেন। জনসভাসহ প্রধানমন্ত্রীর কর্মসূচিকে সফল করার জন্য জেলা সর্বত্র চলছে ব্যাপক প্রচারণা।
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক খান মো. নুরুল আমিন জানান, সারাদেশের ৫০ লাখ হত দরিদ্র পরিবারকে নির্বাচন করে কার্ড বিতরণের কাজ চলছে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের মাধ্যমে হতদরিদ্রদের নির্বাচন করা হয়েছে। দেওয়া হচ্ছে সুদৃশ্য কার্ড। ধান লাগানো ও ধান কাটার মধ্যবর্তী সময়ে যখন দিনমজুরদের হাতে কাজ থাকে না, তখনই এ কর্মসূচির সুফল পাবেন হত দরিদ্র পরিবারগুলো। চলতি বছরের সেপ্টেম্বর, অক্টোবর ও নভেম্বর এবং আগামী বছরের মার্চ ও এপ্রিল মাসে নির্ধারিত ডিলারদের কাছ থেকে ১০ টাকা কেজি দরে সর্Ÿোচ্চ ৩০ কেজি চাল কিনতে পারবেন কার্ডধারীরা।
জেলা খাদ্য নিয়ন্ত্রণ অফিস সূত্রে জানা গেছে, কুড়িগ্রাম জেলায় ১ লাখ ২৫ হাজার ২৭৯টি পরিবার খাদ্যবান্ধব কার্ডের মাধ্যমে সরকারের সৃজনশীল এ কর্মসূচির সুফল পাবেন। এরই মধ্যে চিলমারী উপজেলার ৮ হাজার ২১ জন দরিদ্র পরিবারকে এ কার্ড দেওয়া হয়েছে। এছাড়া সদরে ১৭ হাজার ৭২২টি, নাগেশ^রীতে ২৪ হাজার ২০টি, ভুরুঙ্গামারীতে ১৩ হাজার ৯৮৫টি, ফুলবাড়ীতে ৯ হাজার ২৯৮টি, রাজারহাটে ১০ হাজার ৬০২টি, উলিপুরে ২৪ হাজার ২০৮টি, রৌমারীতে ১২ হাজার ৬৮৫টি ও রাজীবপুর উপজেলায় ৪ হাজার ৭৩৮টি কার্ড বিতরণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। চাল বিক্রির জন্য জেলায় ২৪৭ জন সম্ভাব্য ডিলারের মধ্যে ১২৬ জনকে ইতোমধ্যে নিযুক্ত করা হয়েছে।
চিলমারী উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শওকত আলী সরকার বীরবিক্রম বলেন, প্রধানমন্ত্রীকে বরণ করার জন্য চিলমারীবাসী অপেক্ষা করছেন। জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও কুড়িগ্রাম জেলা পরিষদের প্রশাসক মো. জাফর আলী বলেন, ‘দারিদ্র্য বিমোচনের জন্য নেওয়া নতুন কোনো কর্মসূচি নিলে প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামেই তার উদ্বোধন করেন। এর আগে ২০১০ সালে ন্যাশনাল সার্ভিস চালু করেছিলেন এই কুড়িগ্রাম থেকেই।’
কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক জানান, প্রধানমন্ত্রী কুড়িগ্রামবাসীকে ভালবেসে কুড়িগ্রাম থেকেই তার যুগান্তকারী খাদ্যবান্ধব কর্মসূচি উদ্বোধন করতে যাচ্ছেন। তার সফরকে সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করতে সার্বিক প্রস্তুতি চলছে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম