এস এম নূর মোহাম্মদ : ‘কাসেম ফাঁসির দড়িতে ঝুলেছে। এর আগে যারা দ-প্রাপ্ত হয়েছিল, তাদের অনেকের ফাঁসি হয়েছে। তারা প্রত্যেকে তাদের যোগ্যউত্তরসূরী রেখে যাচ্ছে। কারণ এই যুদ্ধাপরাধীদের উত্তরসূরীদের বক্তব্যে সেটাই প্রতীয়মান হয়’।
গতকাল শনিবার রাতে বেসরকারি টিভি চ্যানেল একাত্তরে প্রচারিত ‘একাত্তর সংযোগ’ অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শিক্ষাবিদ শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী।
শ্যামলী নাসরীন বলেন, এই যে জঙ্গিবাদের সৃষ্টি হয়েছে বা জঙ্গিরা বেড়ে উঠেছে, তার পেছনে সবচেয়ে বেশি অর্থায়ন করেছে এই মীর কাসেমই। তার যে সম্পদ রয়েছে তা বাজেয়াপ্ত করা না হলে এই জঙ্গি অর্থায়ন চলতেই থাকবে।
তিনি বলেন, কাসেমের যে সম্পদ রয়েছে, তা তার দ্বারা নির্যাতিত, অত্যাচারিত যেসব মুক্তিযোদ্ধা বা ক্ষতিগ্রস্ত পরিবার রয়েছে তাদের পুনর্বাসিত করা হোক।
অন্যদিকে একই অনুষ্ঠানে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ বলেন, মানুষের উপর অত্যাচার নির্যাতন চালানোর জন্য ডালিম হোটেল নামের পুরো একটা হোটেলকেই জল্লাদখানা বানিয়েছিলেন এই মীর কাসেম। সেই হোটেলের বিভিন্ন রুমে অনেক রকম নির্যাতনের কাহিনী আছে। যেগুলো ট্রাইবু্যুনালের রায়ে উঠে এসেছে। এখানে যারা সাক্ষী দিতে এসেছিল, তাদের অধিকাংশই ওই ডালিম হোটেল থেকে কোনোরকম বেঁচে ফিরেছিলেন।
তুরিন আফরোজ বলেন, দলেরও বিচার হওয়া জরুরি। আমরা অধীর আগ্রহে বসে আছি সংসদে আইন সংশোধন হবার জন্য। যাতে করে মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী এই দলটিরও বিচার করা সম্ভব হয়। সম্পাদনা : রিকু আমির