ড.অজয় রায়
সারাদেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে জঙ্গি-সন্ত্রাসবিরোধী সভা-সমাবেশ ও আলোচনার উদ্যোগটি খুবই ভালো। একই সময়োউপযোগী ও খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। এ ধরনের আলোচনা অনেক আগেই হওয়া উচিত ছিল। কেননা যারা এখনো জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদের সঙ্গে যুক্ত হওয়ার পরিকল্পনায় বিভোর বা জঙ্গিবাদের পথে অগ্রসর হবে বলে চিন্তা-ভাবনা করছে, তাদের ফেরানো জরুরি। সেদিক থেকে এই উদ্যোগ সুফল বয়ে আনবে বলেই মনে করি। তবে পরিমাণগত দিক থেকে তার ফল কতটুকু হবে তা নিশ্চিত করে বলা মুশকিল।
জঙ্গিবিরোধী এসব কার্যক্রম অব্যাহত রাখতে হবে নিশ্চিত করেই। জঙ্গিদের বিরুদ্ধে সমাজকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে হবে সবসময়। সরকারি উদ্যোগের পাশে আমাদেরও থাকতে হবে। সবাইকে একসঙ্গে এগিয়ে আসতে হবে। শুধু বুদ্ধিজীবী নয়, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক, সাধারণ মানুষ, সাংবাদিক, শ্রমজীবী মানুষ সবাইকে এই জঙ্গি-সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে অবস্থান দৃশ্যমান করতে হবে। প্রতিবাদে এগিয়ে আসতে হবে যার যার অবস্থান থেকে।
তরুণ প্রজন্মকে জঙ্গিবাদী মতাদর্শ বা চিন্তাচেতনা, কার্যকলাপ থেকে ফিরিয়ে আনতে এ রকম আলোচনা বা আন্দোলনের গুরুত্ব অপরিসীম। এ বিষয়ে যতবেশি আলোচনা হবে, তরুণ প্রজন্ম ততবেশি সচেতন হবে। এমনটি করতে পারলেÑ আমাদের অহংকারের তারুণ্যে জঙ্গি ও সন্ত্রাস বিদ্বেষী হবে। এর ফল হবে অত্যন্ত ইতিবাচক। জঙ্গিমুক্ত বাংলাদেশ তারাই গড়বে। মানুষ জেগে উঠলে, জাগিয়ে তুলতে পারলে জঙ্গিদের মূলৎপাটন করা সহজ হবে।
পরিচিতি: শিক্ষাবিদ
মতামত গ্রহণ: তানভীন ফাহাদ / সম্পাদনা: আশিক রহমান