রায় কার্যকর হওয়ায় স্বস্তি পেয়েছি
যতীন সরকার
স্বাধীনতার ৪৫ বছর পর দেশ ও জাতি, স্বাধীনতা বিরোধিদের বিচার কার্যক্রমের ধারাবাহিকতা হিসেবে সর্বশেষ মীর কাসেম আলীর ফাঁসির রায় কার্যকর হতে দেখছে। সমগ্র জাতি আজ আনন্দিত ও উদ্বেলিত। মূলত যারা স্বাধীনতার চেতনায় বিশ্বাসী, স্বাধীনতার পক্ষে চিন্তা করেনÑ এই রায় কার্যকরে তারা অত্যন্ত খুশি ও আনন্দিত।
যেখানে অন্যায়ের বিচার হয়, সেখানে সকলেই খুশি হয়, আনন্দিত হয়। নিজে যেহেতু অন্যায়কারী নই, অন্যায়কে ঘৃণা করিÑ কাজেই এই রায় কার্যকর হওয়ায় স্বস্তি পেয়েছি। তবে যারা এ অন্যায়কে ঘৃণা করে না, তাদের উদ্দেশ্যে ঘৃণাপোষণ করি। পৃথিবীতে যত ভালো মানুষ রয়েছে, তারা সকলেই অন্যায় ঘৃণা করেন, অন্যায়ের বিচার চান, অন্যায় প্রশ্রয় দেন না। সকলেই অন্যায়ের বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করেন। মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের মধ্য দিয়ে দেশ আজ সেই ভালো মানুষের দলে অন্তর্ভুক্ত হয়েছে।
কেউ যখন শত্রুদের হাতে হাত মিলিয়ে নিজ দেশের বিরুদ্ধে অন্যায়ে লিপ্ত হয় তখন সে দেশ ও জনগণের শত্রুতে পরিণত হয়। তখন তার শাস্তি পাওয়া উচিত। কারণ, অন্যায়কারীকে সমাজের কেউ ভালোবাসে না, ভালোবাসতে পারে না। যে ভালোবাসাটুকু পায় তা সাময়িক ও অর্থের প্রভাবে পেয়ে থাকে। মানুষ তার যেকোনো অন্যায় লুকাতে চায় অর্থ দিয়ে। কিন্তু অন্যায় এমন একটা জিনিস যা কেউ কোনোদিন, কোনোকিছুর বিনিময়ে চাপা রাখতে পারেনি।
মীর কাসেম আলীর ফাঁসি কার্যকরের মাধ্যমে বাংলার মানুষের কতটুকু কলঙ্কমোচন হয়েছে, তা পরিষ্কার করে বলতে পারছি না। তবে কলঙ্কমোচনের একটি ধারা সৃষ্টি হয়েছে। কলঙ্কমোচন করতে হলে নিজেদের সচেতন থাকতে হবে। যেকোনো কাজেই আমাদের আত্মতৃপ্তি মোটেই সঠিক নয়। বরং সর্বদা সজাগ-সতর্ক থাকা জরুরি। শত্রু যতই আপন হোক, সে শত্রুর মতোই কাজ করবে।
পরিচিতি: গবেষক ও শিক্ষাবিদ
মতামত গ্রহণ: শরিফুল ইসলাম / সম্পাদনা: আশিক রহমান