ঈদুল আজহার ছুটি ৮ দিন করার প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে
আনিসুর রহমান তপন: সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ঈদুল আজহায় এবার ছুটি পাচ্ছেন টানা ৮ দিন। গতকাল রোববার এ সংক্রান্ত একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১৩ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হবে বিধায় আগামী ১২ থেকে ১৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সরকারি ছুটি নির্ধারিত আছে। আবার সপ্তাহের শুরুতে শুক্রবার ৯ সেপ্টেম্বর, শনিবার ১০ সেপ্টেম্বর এবং সপ্তাহের শেষদিন শুক্রবার ১৬ সেপ্টেম্বর ও শনিবার ১৭ সেপ্টেম্বর রয়েছে সপ্তাহিক ছুটি।
প্রসঙ্গত, আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর মঙ্গলবার উদযাপিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। গত শুক্রবার দেশের আকাশের কোথাও জিলহজ মাসের চাঁদ দেখা যায়নি। শনিবার জিলকদ মাসের ৩০ দিন পূর্ণ হয়েছে। আর গতকাল রোববার থেকে জিলহজ মাস গণনা শুরু হয়েছে। ১০ জিলহজ অনুযায়ী আগামী ১৩ সেপ্টেম্বর পালিত হবে পবিত্র ঈদুল আজহা। শুক্রবার চাঁদ দেখা পর্যালোচনা শেষে এ সিদ্ধান্ত জানায় জাতীয় চাঁদ দেখা কমিটি।
সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানাগেছে, সপ্তাহের মাঝে মঙ্গলবার ১৩ সেপ্টেম্বর পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপিত হওয়ার কারণে সপ্তাহের প্রথম দিন রোববার ১১ সেপ্টেম্বর ও সপ্তাহের শেষ দিন বৃহস্পতিবার ১৫ সেপ্টেম্বর সরকারি দফতর খোলা ছিল। কিন্তু ঈদ উৎসবকে কেন্দ্র করে এসময় সরকারি দফতরে কর্মকর্তা-কর্মচারীর উপস্থিতি কম থাকবে। ফলে দাপ্তরিক স্বাভাবিক কাজ-কর্ম হবে না। আবার সপ্তাহের প্রথম ও শেষদিন সরকারি দফতর খোলা থাকার কারণে ১১ সেপ্টেম্বর কর্মদিবস শেষে রাতে ও ১২ সেপ্টেম্বর সারাদিন পরিবার-পরিজনের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের চেষ্টায় ভোগান্তি বাড়বে বহুগুণ। কারণ এসময় নাড়ির টানে ঘরে ফেরার তাড়ায় একযোগে লঞ্চ ঘাট, বাস স্ট্যা- ও রেলওয়ে স্টেশনে ভিড় করবে সবাই। এতে অতিরিক্ত যাত্রী ও পরিবহনের চাপে যানজটের ভোগান্তি যেমন বাড়ার আশঙ্কা রয়েছে তেমনই একসঙ্গে যাত্রী ও বাড়তি পরিবহনের চাপে দুর্ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা বাড়বে।
এসব দিকে লক্ষ্য রেখে জনদুর্ভোগ এড়াতে ও গ্রামে ফেরা নির্বিঘœ করতে আগামী ১১ সেপ্টেম্বর ও ১৫ সেপ্টেম্বর সরকারি ছুটি ঘোষণা করার জন্য একটি প্রস্তাব অনুমোদনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে পাঠিয়েছে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার নির্বাহী ক্ষমতা প্রয়োগের মাধ্যমে প্রস্তাবটির অনুমোদন দিলেই এবার ঈদুল আজহার ছুটি গড়াবে ৮ দিনে। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম