সনাতন পদ্ধতির ইটভাটা স্থাপন ও নবায়ন নিষিদ্ধ, আইন অমান্যে ১ বছর কারাদ- বা ১ লাখ টাকা জরিমানা আজ মন্ত্রিসভায় উঠছে ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন নিয়ন্ত্রণ আইন ২০১৬’
আনিসুর রহমান তপন: আধুনিক প্রযুক্তির ইটভাটা ব্যতীত অন্য কোনো ইটভাটা স্থাপন, নবায়ন কিংবা চালু করা নিষিদ্ধ করে ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) (সংশোধন) আইন ২০১৬’র খসড়া নীতিগত অনুমোদনের জন্য মন্ত্রিসভায় পাঠিয়েছে বন ও পরিবেশ মন্ত্রণালয়।
মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, পরিবেশ ও অবকাঠামো উন্নয়ন- উভয় দিক থেকে ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন গুরুত্বপূর্ণ। উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখার স্বার্থে যেমন ইট প্রয়োজন, আবার এই সেক্টর থেকে নির্গত বায়ু দূষণের মাত্রা (এসপিএম) সর্বাধিক বিধায় তা নিয়ন্ত্রণ জরুরি। তাই বায়ুদূষণকে সর্বনিম্ন পর্যায়ে রাখা এবং পরিবেশ ও অবকাঠামো উন্নয়নের লক্ষ্যে ২০১৩ সালে সরকার ‘ইট প্রস্তুত ও ভাটা স্থাপন (নিয়ন্ত্রণ) আইন’ তৈরি করে। যেটি ২০১৪ সালের ১ জুলাই থেকে কার্যকর হয়। তবে বাস্তবতার নিরিখে এবার আইনের কতিপয় ধারা আংশিক সংযোজন-বিয়োজন ও সংশোধন করে এর খসড়া নীতিগত অনুমোদনের জন্য আজ মন্ত্রিসভা বৈঠকে উপস্থাপন করা হচ্ছে।
পরিবেশ অধিদফতর সূত্রে জানা গেছে, আইনের সংশোধনীতে আধুনিক প্রযুক্তির ইটভাটার সংজ্ঞায় জ্বালানি সাশ্রয়ের পাশাপাশি বায়ুদূষণের বিষয় সংযোজন করা হয়েছে। মাটির ব্যবহার হ্রাসের উদ্দেশে ২০২১ সালের মধ্যে আধুনিক প্রযুক্তির ইটভাটায় তৈরি ইটে কমপক্ষে ৫০ শতাংশ ফাঁপা ইট প্রস্তুত বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। এছাড়া আইনে আধুনিক ইটভাটায় বায়ুদূষণের মাত্রা ও জ্বালানি ব্যবহার সনাতন ইটভাটার চেয়ে কম হলে ভাটা স্থাপনের দূরত্বসংক্রান্ত শর্তাবলী হতে অব্যহতি প্রদান ও কংক্রিট কম্প্রেসড ব্লক ইটসহ সব অপোড়ানো পদ্ধতির ইট উৎপাদনের ক্ষেত্রে লাইসেন্স গ্রহণ থেকে অব্যহতি দেয়া হয়েছে এই আইনের মাধ্যমে।
আইনটির প্রস্তাবিত সংশোধনীতে ২০১৩ সালের ৫৯নং আইনের ১৪ ধারা সংশোধন এবং উপধারা ৪(ক) সংযোজন করে বলা হয়েছে, যদি কোনো ব্যক্তি ধারা ৪(ক) লঙ্ঘন করে কোনো ইটভাটা স্থাপন করেন, তা হইলে তিনি অনধিক এক বছরের কারাদ- বা অনধিক এক লাখ টাকা জরিমানা প্রদানের রায়ে দ-িত হবেন। সম্পাদনা: রিকু আমির