২০৮০ সালে বিলীন হবে কফি!
এম রবিউল্লাহ: জলবায়ুর পরিবর্তনের কারণে পৃথিবী থেকে ২০৫০ সালের মধ্যে হারিয়ে যেতে শুরু করবে কফি। আর ২০৮০ সালের মধ্যে একেবারেই বিলীন হবে কফি। দ্য ক্লাইমেট ইন্সটিটিউট নামের একটি গবেষণা প্রতিষ্ঠান এই তথ্য জানিয়েছে। দ্য ইন্ডিপেডেন্ট।
কফি বিলীনের কারণে বিশ্বের প্রায় ১২০ মিলিয়ন মানুষের আয় ও জীবিকার উপর নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। নিজেদের জীবন নিয়ে বিপাকে পড়তে হবে কফির উপর নির্ভর দেশের নাগরিকদের। এই দেশের তালিকায় অধিকাংশ দরিদ্র দেশ রয়েছে।
সারা বিশ্বের ৭০টি দেশের ১২০ মিলিয়ন মানুষ কফি বীজের উপর নির্ভরশীল।
প্রতিবেদনে বলা হয়, কফি উৎপাদিত অঞ্চলে বৈরি পরিবেশের কারণে প্রভাব পড়ছে কফি উৎপাদনে। অতিরিক্ত উষ্ণতার কারণে কফির স্বাদ ও গন্ধ বিনষ্ট হবে। কফি সাধারণত ৩ ডিগ্রি তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে। এর বেশি তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে না কফি।
আর তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে ব্যাপক পরিবর্তনের আশঙ্কা করা হচ্ছে কফি উৎপাদিত অঞ্চলে। অতিরিক্ত উষ্ণতার ফলে আগামী কয়েক দশকের মধ্যে কফি উৎপাদনে ধস নামবে। পাহাড়ে ও বিষুব রেখা বরাবর বন উজাড়ের কারণে কফি উৎপাদন ব্যাহত হবে বলে দ্য ক্লাইমেট ইন্সটিটিউটের প্রতিবেদনে বলা হয়।
তাপমাত্রা বৃদ্ধির কারণে ফসলের সঙ্গে কফি উৎপাদনেও ক্ষতি হবে। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ছত্রাক বাড়বে যা উদ্ভিদকে ধ্বংস করে দেবে। ২০১২ সালে অসময়ে বৃষ্টি ও উচ্চমাত্রার উষ্ণতার কারণে সেন্ট্রাল আমেরিকার ফসলে নেতিবাচক প্রভাব পড়েছিল। তাতে সাড়ে ৩ লাখ শ্রমিকের বেতন পরিশোধ করা সম্ভব হয়নি।
কফি উৎপাদিত দরিদ্র দেশের মধ্যে রয়েছে বুরন্ডি, ইথিওপিয়া ও নাইজেরিয়া। এই দেশগুলোর মধ্যে বুরুন্ডি অর্ধেকের বেশি প্রায় ৫৯ শতাংশ কফি রপ্তানি করে থাকে। ৩৩ শতাংশ রপ্তানি করে ইথিওপিয়া, আর নাইজেরিয়া করে থাকে ১৭ শতাংশ রপ্তানি। এসব দেশের প্রধান অর্থকরী ফসল হচ্ছে কফি। সম্পাদনা : রাশিদ রিয়াজ