মার্কিন অর্থনীতির জন্য ট্রাম্পকে দরকার!
নূসরাত জাহান: যুক্তরাষ্ট্রের এবারের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের প্রচার নিয়ে গণমাধ্যম বেশ তৎপর। ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান প্রার্থীদের নির্বাচনি প্রচার, কথা বলার ভঙ্গি, তাদের ভাষণ, তাদের ভুলগুলো খুব ফলাও করে প্রচার করছে। কিছু কিছু ক্ষেত্রে এগুলো বিনোদনের খোরাকও জোগাচ্ছে। সূত্র: নিউইয়র্ক টাইমস
তবে ভোটাররা দেখছেন দুই পক্ষের নীতিগত পার্থক্য বিশেষ করে দেশের অর্থনীতির জন্য হিলারি ক্লিনটন বা ডোনাল্ড ট্রাম্প কেমন নীতি নিয়েছেন। যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দ্রুতগতির, অর্থনীতিকে শক্তিশালী করতে এবং দুর্নীতি কমাতে নানা রকম পরিকল্পনার কথা ট্রাম্প তার নির্বাচনি ইশতেহারে জানিয়েছেন। অপরদিকে, হিলারির ইশতেহারে মূলত ওবামা প্রশাসনের নীতিকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার ইঙ্গিত পাওয়া গেছে। তবে কোন পরিকল্পনাটি যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতির জন্য ভালো হবে তা এখনই বলা সম্ভব হচ্ছে না।
যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে প্রতিবছর গড় প্রবৃদ্ধির হার ১.১ শতাংশ। কংগ্রেস জানিয়েছে, বর্তমান হারে প্রবৃদ্ধি চলতে থাকলে আগামী ১০ বছরে বার্ষিক প্রবৃদ্ধির হার হবে ২ শতাংশ। ২০০৯ সালে যুক্তরাষ্ট্র চরম অর্থনৈতিক মন্দায় পড়ে। সে অবস্থা থেকে খুব ধীরে ধীরে বের হয়ে আসছে মার্কিন অর্থনীতি। ব্যবসায় বিনিয়োগ ও লাভের পরিমাণ এক বছর আগেও খুব কম ছিল। যার প্রভাব পড়ে বাড়ি ভাড়া, কর, ঋণ ও স্বাস্থ্যসেবার উপর।
তবে জরিপে দেখা গেছে, ট্রাম্পের অর্থনৈতিক নীতি হয়তো রাজস্ব ঘাটতির মাত্রা বাড়িয়ে দেবে। কিন্তু তার নীতির জন্য যুক্তরাষ্ট্রে নতুন কর্মসংস্থানের সৃষ্টি হবে। এতে করে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি দ্রুতগতিতে বাড়বে।
ট্রাম্পও জাতীয় ঋণ সম্পর্কে অবগত আছেন। তিনি মূলত বেসরকারি খাত দ্রুত এগিয়ে যাকÑ এটাই চাইছেন। এরে ফলে জাতীয় ঋণ ও জিডিপির মধ্যে থাকা আকাশ-পাতাল ফারাক কমিয়ে আনা সহজ হবে। প্রেসিডেন্ট ওবামার সময় যা গগণমুখী রূপ নেয়।
এছাড়া ট্রাম্প দুর্নীতি কমানোর উপরও গুরুত্বারোপ করেছেন। এতে করে অনেক আমেরিকান নতুন কর্মসংস্থান তৈরি হবে বলে আশা করছেন। তিনি মূলত যুক্তরাষ্ট্রের ভেঙে পড়া অর্থনৈতিক ব্যবস্থাকে দাঁড় করাতে চান বলে তার সমর্থকরা বলছেন। সম্পাদনা: প্রিয়াংকা