আজকের এ দিনে সম্মুখ যুদ্ধে প্রাণ দিয়েছিলেন বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ
মো. ইমরান হোসেন ও জিরু শেখ, নড়াইল: মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গনের সাহসী সন্তান বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদের ৪৫তম মৃত্যুবার্ষিকী আজ। ১৯৭১ সালের ৫ সেপ্টেম্বর যশোরের গোয়ালহাটি ও ছুটিপুরে পাকবাহিনীর সঙ্গে সম্মুখ যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করেন নূর মোহাম্মদ। যশোরের শার্শা থানার কাশিপুর গ্রামে তাকে সমাহিত করা হয়। মুক্তিযুদ্ধে বীরোচিত ভূমিকা ও আত্মত্যাগের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ‘বীরশ্রেষ্ঠ’ খেতাবে ভূষিত করা হয়। দিনটিকে ঘিরে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেছে জেলা প্রশাসন।
১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার মহিষখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন নূর মোহাম্মদ। ২০০৮ সালে ‘মহিষখোলা’র নাম পরিবর্তন করে ‘নূর মোহাম্মদ নগর’ করা হয়। নাম পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে উন্নয়নের ছোঁয়া লাগতে শুরু করে নূর মোহাম্মদনগরে। তার স্মৃতিরক্ষার্থে নির্মাণ করা হয়েছে গ্রন্থাগার ও জাদুঘর, স্মৃতিস্তম্ভ, ক্লাব ও পাঠাগার। প্রতিষ্ঠিত হয়েছে বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ মাধ্যমিক বিদ্যালয় এবং কলেজ। তবে বিদ্যালয়টি এমপিওভুক্ত হলেও কলেজটি এখনো এমপিওভুক্ত হয়নি।
এদিকে, বীরশ্রেষ্ঠ নূর মোহাম্মদ গ্রন্থাগার ও স্মৃতি জাদুঘরে বিভিন্ন ধরনের বই-পুস্তক থাকলেও তার ব্যবহৃত জিনিসপত্রসহ কোনো স্মৃতিই রাখা হয়নি সেখানে। এমনকি নূর মোহাম্মদের ব্যবহৃত বাইসাইকেলটিও স্মৃতি জাদুঘরে সংরক্ষিত হয়নি। বর্তমানে নূর মোহাম্মদের ব্যবহৃত বাইসাইকেলটি এলাকার এক যুবক ব্যবহার করছেন।
এদিকে, নূর মোহাম্মদের বসতভিটায় স্মৃতিস্তম্ভের পাশে একটি বিশ্রামাগার নির্মাণের দাবি করেছেন নূর মোহাম্মদের স্ত্রীসহ এলাকাবাসী।
নূর মোহাম্মদ ১৯৩৬ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি নড়াইল সদর উপজেলার মহিষখোলা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন (বর্তমানে নূর মোহাম্মদনগর)। বাবা মোহাম্মদ আমানত শেখ ও মা জেন্নাতুন্নেছা। বাল্যকালেই তিনি বাবা-মাকে হারান। লেখাপড়া করেছেন সপ্তম শ্রেণি পর্যন্ত। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি