অন্যদেশ কেন মাথা ঘামাবে?
মে. জে. আব্দুর রশীদ (অব.)
বংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের বিচারে পাকিস্তান বরাবরই মর্মাহত ও দুঃখপ্রকাশ করে আসছে। তুরস্কও তার সঙ্গে নিন্দা ও মর্মাহত হয়েছে বলে জানিয়েছে। একটি স্বাধীন দেশের বিচার ব্যবস্থা নিয়ে অন্যদেশ কেন মাথা ঘামাবে? এটা কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়।
যুদ্ধাপরাধীদের বিচার একটি ঐতিহাসিক বিষয়। যারা যুদ্ধাপরাধী, তাদেরকে পাকিস্তান নিজের দেশের লোক মনে করে। বাংলাদেশের এ বিচারটি পাকিস্তানের সামরিক ও বেসামরিক যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করার রাস্তাটি উন্মোচন করল। এর ভবিষ্যত কী তা পাকিস্তান অনুভব করে। সে অনুভবের কারণেই বাংলাদেশের যুদ্ধাপরাধীদের এই বিচারকে তারা গ্রহণ করতে চায় না। যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া শেষে এ পর্যন্ত যতগুলো রায় কার্যকর হয়েছে, প্রতিটির প্রতিক্রিয়া জানাতে দেখেছি পাকিস্তানকে। বাংলাদেশ কূটনৈতিক সম্পর্কের ঠিক জায়গাতেই রয়েছে।
তুরস্কের সঙ্গে বাংলাদেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক ভালোই ছিল এবং এর ঐতিহাসিক ভিত্তিও আছে। তবে তুরস্কের ক্ষমতাসীন দল ও জামায়াতে ইসলামীর উৎপত্তি একই জায়গায়। জামায়াতে ইসলামী একটি আন্তর্জাতিক সংগঠন। জামায়াতে ইসলাম গঠন করা হয় যেসব দেশের নেতাদের নিয়ে, তার মধ্যে তুরস্কেরও বেশকিছু নেতা ছিলেন। জামায়াতে ইসলামীর ফাউন্ডেশন গঠনের সময় তারা এর অংশীদার ছিল। তাদের মধ্যে সেই ঐতিহাসিক সম্পর্ক ও ভালোলাগার জায়গা থেকেই হয়তো এমন দুঃখ ও মর্মাহত বলে তারা মন্তব্য করেছে। বাংলাদেশের জামায়াতে ইসলামীর কিছু হলেই তাদের সুরক্ষা দেওয়ার জন্য রাষ্ট্রীয়ভাবে পৃষ্ঠপোষকতা দিয়ে থাকে। পাশে থাকে। তবে প্রতিক্রিয়ার মাত্রা আগের তুলনায় এখন অনেক কমে গেছে।
পরিচিতি: নিরাপত্তা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষক
মতামত গ্রহণ: শরিফুল ইসলাম
সম্পাদনা: আশিক রহমান