হংকংয়ের আইন পরিষদ নির্বাচনে চীনবিরোধী ছাত্রনেতার জয়
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : হংকংয়ের আইন পরিষদ নির্বাচনে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ভোট পেয়ে জয়ী হয়েছেন ২০১৪ সালে স্বাধীনতাপন্থি আন্দোলনের অন্যতম নেতা নাথান ল। বিবিসি বলছে, ৯০ শতাংশ ভোট গণনা শেষে ডেমোসিস্টো পার্টির ল’ আইন পরিষদের আসন নিশ্চিত করেছেন। বিডিনিউজ
চীনা অধ্যুষিত এ বাণিজ্যিক অঞ্চলের আইন ও বাজেট প্রণয়নের ক্ষমতা রাখে আইন পরিষদ। কমিউনিস্টশাসিত চীন হংকংকে নিয়ন্ত্রণ করলেও সেখানে পুঁজিবাদী ব্যবস্থা বলবৎ; হংকংয়ের কারণেই চীনে ‘এক দেশ দুই নীতি’ পদ্ধতি চালু আছে। ২০১০ সালে পাস হওয়া সংবিধান অনুযায়ী ৭০ আসনের হংকংয়ের আইন পরিষদের ৩৫ আসনে ভোটারদের সরাসরি ভোটে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্বশীল পদ্ধতিতে ভোট হয়।
রোববারের নির্বাচনে ৫৮ শতাংশ ভোট পড়েছে বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম, যা ২০০৮ সালের তুলনায় প্রায় ১৩ শতাংশ বেশি। ভোটগ্রহণ শেষেও কোন কোন কেন্দ্রে ভোটারদের দীর্ঘ সারি দেখা গেছে বলে গার্ডিয়ানের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। ভোটে স্বাধীনতাপন্থি ইয়ংস্পিরেশন দলের আরও দুই সদস্য জয়ের কাছাকাছি আছেন। এরাও ২০১৪ সালের ‘আমব্রেলা আন্দোলনে’ সামনের কাতারে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন। ওই আন্দোলনে হংকং-এর সংবিধান পরিবর্তনের আহ্বান জানানো হয়, যেন চীন থেকে আরও বেশি স্বাধীনতা পাওয়া যায়।
হংকংয়ের রাজনীতি, অর্থনীতিসহ অনেকবিষয়ে চীন ‘মাত্রাতিরিক্ত নাক গলাচ্ছে’ অভিযোগ করে আন্দোলনকারীরা তখন বলেছিলেন, চীনের ওই একগুঁয়েমির কারণে ‘এক দেশ দুই নীতি’ পদ্ধতি হুমকির মধ্যে পড়ছে। আন্দোলনের সময় বিশ্বের অন্যতম বাণিজ্যিক রাজধানী হংকং কার্যত অচল হয়ে পড়েছিল। চীন আন্দোলনকারীদের অভিযোগ অস্বীকার করেছে এবং ওই আন্দোলনের স্বীকৃতি দেয়নি। আইন পরিষদের এ ভোটে ল’র জয় হংকংয়ের চীনপন্থী দলগুলোকে চ্যালেঞ্জের মুখে ফেলবে বলে ধারণা করা হচ্ছে। হংকংয়ের প্রধানমন্ত্রী ও অন্যান্য শীর্ষ নেতারা চীনের মনোনীত হয়ে থাকেন। আইন পরিষদের ভোট এ মনোনয়নে তেমন প্রভাব ফেলে না। তবে ভোটে স্বাধীনতাপন্থিদের ভোট বাড়ায় তা চীনপন্থী বর্তমান প্রধানমন্ত্রী সিওয়াই লিউং এর দ্বিতীয়বার ক্ষমতায় বসার সম্ভাবনাও ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। ভোটের পুরো ফল সোমবার সন্ধ্যা নাগাদ পাওয়া যাবে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ
স্বাধীনতাপন্থিদের ভোট বাড়লেও চীনপন্থী দলগুলোই নির্বাচনে সংখ্যাগরিষ্ঠ আসনে বিজয়ী হবে বলে ধারণা পাওয়া গেছে। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ