ক্লাস চলছে শ্রীনগরের কার্ফু-স্কুলে
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : স্কুলচত্বরে নয়। এমনকি শিক্ষক-অধ্যাপকেরাই শুধু নন, ক্লাস নিচ্ছেন স্থানীয় ব্যাঙ্ককর্মী, তথ্যপ্রযুক্তিকর্মী, গবেষক, অবসরপ্রাপ্ত সরকারি চাকুরে। আসবাবের দোকানদার স্বেচ্ছায় দিচ্ছেন চেয়ার, টেবিল। কোথাও আবার মাটিতে বসেই পড়াশোনা। প্রতিবাদী কাশ্মীরে মাঝেমধ্যেই স্কুল বন্ধ হলেও ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনা যাতে বন্ধ না হয়, সে জন্য এভাবেই ক্লাস হচ্ছে শ্রীনগর, বারামুলা, অনন্তনাগের বিভিন্ন কার্ফু-স্কুলে। এবেলা
এমবিএ’র ছাত্র, ৩৩ বছরের খালিদ হুসেন মোবাইল সংস্থার কর্মী। শ্রীনগরের হাসানাবাদ এলাকায় ইমামবাড়া চত্বরে গত দেড় মাস ধরে পড়ুয়াদের বিজ্ঞান পড়াচ্ছেন তিনি। খালিদ বললেন, এখানে কিছুদিন ধরে অশান্তি চলছে। সে জন্য ছেলেমেয়েদের ভবিষ্যৎ যাতে নষ্ট না হয়, তাই এই উদ্যোগ। শ্রীনগরের কাও এলাকার খানইয়ার বিয়েবাড়ি, বেমিনা এলাকার মসজিদেও গত কয়েকসপ্তাহ ধরে চলেছে বিশেষ কার্ফু-স্কুল। ২০০৮ এবং ২০১০ সালে অশান্তির সময়েও এমন স্কুল খুলেছিলেন স্থানীয় বাসিন্দারা। খালিদ জানাচ্ছেন, বর্তমানে তাঁদের স্কুলে পড়ুয়া ৩০০ জন। শিক্ষকশিক্ষিকার সংখ্যা ৪০। দিনের বিভিন্ন সময় ঘুরিয়ে-ফিরিয়ে ক্লাস নেওয়া হয়। কখনও বাবা-মায়ের সঙ্গে, কখনও বা বন্ধুদের সঙ্গে দল বেঁধে সময়মতো স্কুলে হাজির হয় আগ্রহী পড়ুয়ারা।