ইইউ-ব্রিটেন সম্পর্ক পরিকল্পনা এ সপ্তাহেই
আন্তর্জাতিক ডেস্ক : ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বেরিয়ে আসার ক্ষেত্রে তাদের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক কেমন হতে পারে তা আগামী সপ্তাহে তার পরিকল্পনা ঠিক করা হবে। রোববার বিবিসিকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে এ কথা বলেছেন ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে। জুলাইয়ে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর তিনি ও তার ব্রেক্সিট বিষয়ক মন্ত্রী ডেভিড ডেভিস এ বিষয়ে খুব কমই কথা বলেছেন। ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে ব্রিটেনের সম্পর্ক কেমন হবে সে বিষয়ে বলা যায় তারা মুখ বন্ধ করে রেখেছেন। তবে বিবিসিকে দেয়া ওই সাক্ষাতকারে থেরেসা মে বলেছেন, তারা শুধু (ইউরোপীয় ইউনিয়নের) অভিবাসী কমিয়ে আনতে চাইবেন এবং বাণিজ্যে ভাল একটি চুক্তি চাইবেন। রয়টার্স
থেরেসা মে চীনে জি-২০ শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেয়ার আগে তার এ সাক্ষাতকার রেকর্ড করা হয়। এতে তিনি বলেছেন, এ সপ্তাহে ডেভিড ডেভিস পার্লামেন্টে একটি বিবৃতি দেবেন। সরকার এই গ্রীষ্মে কি কি কাজ করেছে এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের সঙ্গে কি সম্পর্ক চায় সে বিষয়ে তাতে বিস্তারিত থাকবে। উল্লেখ্য, চীনের উদ্দেশে লন্ডন ত্যাগ করার আগে তিনি বলেছেন, ব্রেক্সিট ভোটের কারণে ব্রিটিশ অর্থনীতি দুর্ভোগে পড়বে। বিবিসিকে তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, অস্ট্রেলিয়ার প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুল সহ বিশ্বনেতাদের সঙ্গে এই গ্রীষ্মেই ভবিষ্যত বাণিজ্যিক চুক্তি বা সম্পর্ক নিয়ে তার সরকার আলোচনা শুরু করবে। তিনি বলেছেন, আমরা এসব বিষয় নিয়ে আগে থেকে কথা বলে রাখবো, যাতে সময় এলেই আমরা চুক্তি স্বাক্ষর করতে সক্ষম হই। ২৪০০ কোটি ডলারের হিঙ্কলে পয়েন্ট বিদ্যুত কেন্দ্রের প্রকল্প মুলতবি করে থেরেসা মে চীনা কর্মকর্তাদের হতাশ করেছেন। এ অবস্থার মধ্যে চীনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে তার মুখোমুখি আলোচনায় বসার কথা রয়েছে। তিনি বিবিসিকে বলেছেন, ওই চুক্তি নিয়ে তিনি এ মাসের শেষের দিকে একটি সিদ্ধান্ত নেবেন। ইউরোপীয় ইউনিয়ন ছাড়ার ক্ষেত্রে এ বছরে তিনি লিসবন চুক্তির ৫০ অনুচ্ছেদ উত্থাপন করবেন না। এ সময়ে তিনি আগামী জাতীয় নির্বাচনের বিষয়টিও উড়িয়ে দেন। ওদিকে স্কটল্যান্ডের ফার্স্ট মিনিস্টার নিকোলা স্টার্জেন স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা নিয়ে যে বক্তব্য দিয়েছেন তা প্রত্যাখ্যান করেছেন থেরেসা মে। স্টার্জেন বলেছেন, স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা প্রশ্নে গণভোটের ঠিক দু’বছর পর ব্রেক্সিট ভোট স্কটল্যান্ডের স্বাধীনতা নিয়ে নতুন করে বিতর্ক শুরু করে দিয়েছে। তার বক্তব্য প্রত্যাখ্যান করে থেরেসা মে বলেন, জনমত জরিপ বলছে, আরেকটি গণভোট চায় না স্কটল্যান্ডের মানুষ। সম্পাদনা : ইমরুল শাহেদ