ডাল তেল লবণ চিনির দাম কমাতে সমন্বিত উদ্যোগ
জাফর আহমদ: চিনি, ভোজ্য তেল আর লবণের মূল্য লাগাম ছাড়া অবস্থা হয়েছে। প্রতি কেজি চিনির দাম উঠেছে ৭০ টাকা, লবণ ৪২ টাকা এবং ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ১১০ টাকা পর্যন্ত। এ সব নিত্যপণ্যের দাম কমাতে সমন্বিত উদ্যোগ নিচ্ছে সরকার।
আন্তর্জাতিক বাজারে চিনি ও সয়াবিন তেলের দাম বেড়েছে। এই অজুহাতে রিফাইনারিগুলো দেশের বাজারেও এ দুই পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। চিনির দাম বৃদ্ধির কারণ হিসাবে শুল্ক বৃদ্ধির কারণকে দায়ী করেছে। বাজারে দাম কমলেও তেল ও চিনির রিফাইনারীগুলো দাম কমানোর কোনো উদ্যোগ নেয়নি। বরং চিনি রিফাইনারীগুলো বাংলাদেশে কৃত্রিম সংকট তৈরি করে বাজারে দাম বাড়িয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বাংলাদেশ ব্যাংকের সংশ্লিষ্ট সূত্র। ব্যাংকের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে প্রতিবারের চেয়ে বেশি আমদানি করলেও দাম কমানো হচ্ছে না।
এদিকে, তেলের আমদানি আগের মতই রয়েছে। তারপরও কেন দাম বাড়ছে- তা পর্যবেক্ষণ করছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে অযৌক্তিকভাবে তেলের দাম বাড়িয়েছে- এমন প্রমাণ হলে ওই সব প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিবে বলে জানিয়েছে মন্ত্রণালয় সূত্র।
এদিকে, সাম্প্রতিক সময়ে সর্বোচ্চে উঠেছে লবণের দাম। অপরিশোধিত লবণের দাম বাড়ার অজুহাতে দেশের বাজারে লবণের দাম বেড়ে কেজিপ্রতি ৪৩ হয়েছে। বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সূত্র জানায়, চট্টগ্রামে লবণ চাষের জমি প্রভাবশালীরা জোর করে ভাড়া নিয়ে চাষীদের কাছে চড়া দামে ইজারা দেয়। ফলে লবণের উৎপাদন ব্যয় বেড়ে যাওয়ার কারণে বাজারে প্রভাব পড়ছে। এছাড়া ক্রুড লবণ আমদানি নিয়ন্ত্রণ করার কারণেও লবণের দাম বেড়ে গেছে।
নিত্যপ্রয়োজনীয় এসব পণ্যের দাম বাড়ায় নড়েচড়ে বসেছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। ইতোমধ্যে ভোজ্য তেল, চিনির দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করে ভোক্তা পর্যায়ে এ দুই পণ্যের দাম কত হওয়া উচিত, সেই বিষয়ে বাংলাদেশ ট্যারিফ কমিশন থেকে প্রতিবেদন নিয়েছেন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। উভয় পণ্যের ক্ষেত্রেই আমদানি মূল্য, পরিশোধন ব্যয় এবং সরকারের শুল্ক-করাদিসহ উৎপাদন খরচ হিসাব করে ট্যারিফ কমিশন দেখিয়েছে, রিফাইনারীগুলো অযৌক্তিক হারে পণ্যের দাম বাড়িয়েছে। সরকারের অন্য সংস্থাগুলোও একই মত দিয়েছে। সম্পাদনা : পরাগ মাঝি