কেরানীগঞ্জেই হচ্ছে জবির নতুন ক্যাম্পাস
দেলওয়ার হোসাইন: বর্তমান জায়গা রেখে ঢাকার অদূরে কেরানীগঞ্জে হবে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন ক্যাম্পাস। সেখানেই আবাসিক হল নির্মাণ, একাডেমিক ভবনসহ একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য যা যা দরকার করা হবে। এ জন্য কেরানীগঞ্জে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেনা ২৫ বিঘা জমির পাশাপাশি প্রয়োজনীয় পরিমাণ জমি অধিগ্রহণ করা হবে। গতকাল সোমবার প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে মন্ত্রিসভার নিয়মিত বৈঠকের শেষ দিকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে আয়োজিত জরুরি সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি।
শিক্ষামন্ত্রী বলেন, মন্ত্রিসভায় সিদ্ধান্ত হয়ে যাওয়ায় আমরা খুবই আনন্দিত। এজন্য জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীসহ সবাই খুশি হবেন। এক প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য কেরানীগঞ্জ ছাড়া আর কোথাও জমি কেনা হবে না। কেরানীগঞ্জে কতটুকু জমি লাগবে? এমন প্রশ্নের জবাবে শিক্ষামন্ত্রী নূরুল ইসলাম নাহিদ বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৫ বিঘা জমি আছে। একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজ করার জন্য যে পরিমাণ জমি প্রয়োজন, সেটা নেওয়া হবে। তবে পুরান ঢাকায় নিজস্ব যে জমি আছে, সেটা থাকবে।
তিনি বলেন, তখন কোনটি মূল ক্যাম্পাস হবে, কোথায় কী কাজ হবে- সেসব বিষয়ে একটি মহাপরিকল্পনা তৈরি করা হবে। জগন্নাথের ছাত্রদের জন্য কেরানীগঞ্জে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে ১০ তলা একটি আবাসিক হল নির্মাণের যে প্রকল্প নেওয়া হয়েছে, সেখানেই আরও জমি নিয়ে নতুন ক্যাম্পাস হবে।
গত ২৪ আগস্ট সচিবালয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের সঙ্গে বৈঠক করে শিক্ষামন্ত্রী নাহিদ জানান, হল নির্মাণ প্রকল্পটি এগিয়ে নিতে তিনি প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা পেয়েছেন। গতকাল মন্ত্রিসভার বৈঠকে জগন্নাথ শিক্ষার্থীদের আন্দোলন নিয়ে আলোচনা হলে সরকারের নতুন নির্দেশনা আসে।
বৈঠকে উপস্থিত মন্ত্রিসভার একজন সদস্য বলেন, নাজিমউদ্দিন রোডে পুরনো কারাগারের সঙ্গে বঙ্গবন্ধু এবং জাতীয় চার নেতার স্মৃতি জড়িয়ে থাকায় সেখানে পার্ক ও জাদুঘর করার আগের সিদ্ধান্তই ঠিক থাকবে বলে প্রধানমন্ত্রী জানান। সম্পাদনা: রিকু আমির