![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/themes/amader-orthoneeti/img/sky.jpg)
ছেলেদের মতো সুযোগ চান বাংলাদেশের মেয়েরা
নিজস্ব প্রতিবেদক: সাম্প্রতিক সময়ে জাতীয় পুরুষ ফুটবল দলের যখন হতাশাজনক পারফরমেন্স, তখন কিশোরী কৃষ্ণা রানীরাই দেশের মাটিতে ফুটবলে সার্বজনীন উৎসবের সুযোগ এনে দিয়েছেন। মেয়েদের এ সাফল্যের ভূয়সী প্রশংসা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও। রোববার ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার অনুষ্ঠানে মেয়েদের প্রশংসায় ভাসিয়েছেন তিনি।
দেশজুড়ে যখন মালদ্বীপের বিপক্ষে বাংলাদেশের ৫-০ গোলে হারের লজ্জার ইতিহাস নিয়ে কানাঘুষা চলছে, তখন ইরান ও চায়নিজ তাইপের মতো শক্তিশালী দলকে নাস্তানাবুদ করে অনূর্ধ্ব-১৬ এএফসি চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে এক ম্যাচ হাতে রেখেই গ্রুপসেরা হয়ে প্রথমবারের মতো এশিয়ার নারী ফুটবলে শ্রেষ্ঠত্বের মঞ্চ এএফসি কাপের মূল পর্বে নাম লিখিয়েছেন বাংলার মেয়েরা। অথচ এত বড় কীর্তি গড়ার পরের দিনও তাদের মুখে বড় কোনো চাওয়া নেই। শরীরী ভাষাতেও নেই কোনো দাম্ভিকতা। সত্যিকারের বীর তাদেরই বলা যায়।
বাংলাদেশ দলের প্রাণভোমরা সানজিদা জোরালো দাবি তুলে বলেন, আমরা যখন ভালোই করছি, আমাদের যেন ছেলেদের মতো সুযোগ-সুবিধা দেওয়া হয়। চার ম্যাচে একটি গোল না পেলেও সবার নজর কেড়েছেন সানজিদা। পুরো বাছাই পর্বের অলিখিত সেরা খেলোয়াড়দের একজন বাংলাদেশের এই রাইট উইঙ্গার। ঢাকায় দুই বছর আগে অনুষ্ঠিত একই টুর্নামেন্টে চার গোল করে নিজেকে প্রথম চিনিয়েছিলেন ময়মনসিংহ জেলার কলসিন্দুরের এ মেয়ে। অথচ ভালো ব্র্যান্ডের একজোড়া বুট নেই তার পায়ে। তাই আফসোস, জাতীয় দলের ভাইদের মতো করে তাদের নিয়েও যদি ভাবা হতো, তাহলে অন্তত ভালো একজোড়া বুট উঠত তার পায়ে।
ছেলেদের মতো মেয়েদের নিয়েও ভাবার সময় হয়েছে বলে দাবিটা আস্তে আস্তে জোড়ালো হচ্ছে। মেয়েদের ধারাবাহিক সাফল্যই এ দাবিকে জোরালো করে তুলছে। বড় এ সাফল্যের আগে এ বছরের মে মাসেই তাজিকিস্তান থেকে এএফসি অনূর্ধ্ব-১৪ তে চ্যাম্পিয়ন হয়ে দেশে ফিরেছেন মেয়েরা। এর আগে ২০১৫ সালে নেপালেও অনূর্ধ্ব-১৪ এএফসি রিজিওনাল চ্যাম্পিয়নশিপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল বাংলাদেশ। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি
![](https://amaderorthoneeti.com/new/wp-content/themes/amader-orthoneeti/img/sky.jpg)