তিব্বতে চীনের সমর প্রস্তুতি
ভারত অরুণাচল প্রদেশে চীন সীমান্ত লক্ষ্য করে ১২টি দূরপাল্লার ব্রহ্মস মিসাইল ও লাদাখ সীমান্তে ১০০টি, টি-৯২ ট্যাংক মোতায়েনের পর চীনের প্রতিক্রিয়া কি হয় সবাই লক্ষ্য করছিলেন। এরই ফলশ্রুতিতে পৃথিবীর দুর্গমতম হিম শীতল তিব্বতে এক গোপন বিমান ঘাটিতে চীন ১২টি জে-২০ স্টীল্থ বোমারু বিমান মোতায়েন করেছে। এই বিমানের নির্মাণ ব্যয় প্রতিটি ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বা ৮০০০ কোটি টাকা। বিশ্বের ৩টি দেশের কাছে মাত্র স্টীল্থ বোমারু বিমান রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের কাছে রয়েছে বি-১, ২০টি, বি-২, ২০টি, এফ-২২, ২০টি ও এফ-৩৫, ১২টি। অপরদিকে রাশিয়ার কাছে রয়েছে এসইউ-৩৫ নামক ২০টি স্টীল্থ বোমারু বিমান। পৃথিবীর কোনো রাডারের পক্ষে সম্ভব নয় কোনো স্টীল্থ বোমারু বিমানকে সনাক্ত করা। দিনে কিংবা রাত্রে যেকোনো অবস্থায় এই বোমারু বিমানগুলো শত্রু পক্ষের ঘাটিতে পারমাণবিক অস্ত্র নিক্ষেপসহ সব ধরনের প্রচলিত অস্ত্র দ্বারা হামলা চালাতে সক্ষম।
ইতোমধ্যে ভারত ভিয়েতনামকে ৫০ কোটি ডলার সামরিক সহায়তা দিয়েছে। এই অর্থ দিয়ে ভিয়েতনাম তার নৌ-বাহিনীকে আরও উন্নত করবে। অর্থাৎ চীনের বিরুদ্ধে আগামীতে যেন ভিয়েতনাম ভূমিকা রাখতে পারে সে লক্ষ্যে যুক্তরাষ্ট্রের পরামর্শে ভিয়েতনামকে ভারত অর্থ দিয়ে ও সমরাস্ত্র দিয়ে সহায়তা করছে। বর্তমানে দক্ষিণ চীন সাগরে উত্তেজনা দেখা দিয়েছে। চীনের কর্তৃত্ব কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্র ও তার অনুগত দেশগুলো মেনে নিতে পারছে না। পারছে না বলেই একাধিক দেশ চীনের বিরুদ্ধে একজোট হচ্ছে। যেন চীন মানসিক দিক দিয়ে চাপের মধ্যে থাকে। প্রতিবেশি কোনো দেশ কোনোদিনই চীনের সঙ্গে স্থল যুদ্ধে জয়ী হতে পারেনি। এই লজ্জাটা তারা ভুলতে চায়। কিন্তু চীন একাধিক শত্রু পক্ষকে কাবু করার উপযোগী সমরাস্ত্র তৈরি করে ফেলেছে। নিজের উদ্যোগে একটি বিমানবাহী রনতরি নির্মাণ করেছে। আরেকটি নির্মাণ করছে। একাধিক পারমাণবিক অস্ত্র সজ্জিত সাবমেরিন নির্মাণ করেছে। প্রত্যেকটা সাবমেরিন ১২টি করে দূরপাল্লার মিসাইল বহন করে। আর প্রতিটি মিসাইল ২টি করে পারমাণবিক বোমা বহন করে।
চীনের সাবমেরিনগুলো শত্রু পক্ষের চোখ ফাঁকি দিয়ে হামলা চালাতে সক্ষম কারণ চীনের সাবমেরিন শব্দবিহীনভাবে শত্রু পক্ষের রাডারের চোখ ফাঁকি দিয়ে হামলা চালাতে সক্ষম। অপরদিকে চীনের প্রতিপক্ষ দেশের সাবমেরিনগুলো অনেক শব্দ করে যে কারণে চীনের রাডারে শত্রু পক্ষের সাবমেরিনের অস্তিÍত্ব ধরা পড়ে যায়। হিম শীতল তিব্বতের যে বিমান ঘাটিতে জে-২০, স্টীল্থ বোমারু বিমান মোতায়েন করা হয়েছে তার উচ্চতা ১৪০০০ ফিট। অনেক উচুতে এই বিমানগুলো মোতায়েনের অর্থ হচ্ছেÑ অনেক উপরে ওঠার পরও জে-২০, যেকোনো আবহাওয়ায় যেকোনো দূরত্ব থেকে শত্রু পক্ষের ঘাটিতে হামলা চালাতে সক্ষম। কোনোভাবেই যুক্তরাষ্ট্রের গোয়েন্দা উপগৃহে জে-২০ এর ছবি তুলতে পারেনি। অতি সম্প্রতি গুগলে জে-২০ এর ছবি প্রকাশিত হয়েছে। প্রকাশিত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের সমরাস্ত্র বিশেষজ্ঞরা দুশ্চিন্তায় পড়ে গেছেন। তারা ভাবতেই পারছেন না অল্প সময়ের ভিতরে চীন কিভাবে স্টীল্থ বোমারু বিমান তৈরি করে ফেলল।
সম্পাদনা: আশিক রহমান