কেরানীগঞ্জে প্রাকৃতিকভাবে মোটাতাজা হচ্ছে গরু-মহিষ
বিপ্লব বিশ্বাস: রাজধানীর অদূরে কেরানীগঞ্জে স্থানীয় প্রাণিসম্পদ বিভাগের তত্ত্বাবধানে ক্ষতিকারক ওষুধ ব্যবহার না করে প্রাকৃতিকভাবেই মোটাতাজা করা হচ্ছে গরু ও মহিষ। কুরবানি ঈদে বাড়তি লাভের আশায় প্রতিবছরই এ এলাকায় বাড়ছে গবাদিপশুর খামার। সরকারি সহায়তা পেলে এ খাতে আরও নতুন নতুন উদ্যোক্তা সৃষ্টি করা সম্ভব বলে মনে করছেন খামারিরা। কেরানীগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পাশেই দুবছর আগে গড়ে তোলা হয় গবাদিপশুর খামারটি। কুরবানি ঈদে বাড়তি দামে বিক্রির আশায় দেশি গরু, মহিষ ছাড়াও এখানে পালন করা হচ্ছে ভারতীয় ও নেপালি গরু।
খামারিরা বলেছেন, বিক্রির ছয় মাস থেকে এক বছর আগে হাট থেকে কিনে কোনো প্রকার ক্ষতিকারক রাসায়নিকের ব্যবহার ছাড়াই দেশি পদ্ধতিতে লালন পালন করা হয় এখানকার গরু-মহিষগুলো। খামারের মালিক জানালেন, প্রায় আট মাস আগে কেনা হয়েছিল দুটি মহিষ। ইতোমধ্যে ৪ লাখ টাকায় বিক্রিও হয়েছে সাদা চোখের ছোট মহিষটি। আর অন্যটি আসছে ঈদে ৬ লাখ টাকায় বিক্রির আশা করছেন তিনি। তবে ঈদ বাজারে অবাধে ভারতীয় গরু এলে কাক্সিক্ষত দাম না পাওয়ার আশঙ্কাও করছেন তারা।
অন্যদিকে,খামারিদের আরও উন্নত প্রশিক্ষণের জন্য অর্থ বরাদ্দ বাড়ানো প্রয়োজন বলে মনে করেন প্রাণিসম্পদ বিভাগের কর্মকর্তারা। কেরানীগঞ্জে ছোট-বড় প্রায় ৫০০ খামারে কোনো প্রকার ক্ষতিকর ওষুধের ব্যবহার ছাড়াই পরিপালন করা হচ্ছে এসব হৃষ্টপুষ্ট গবাদিপশু। সম্পাদনা: মোরশেদ