হিলারি-ট্রাম্পের শেষ দুই মাসের মিশন
আন্তর্জাতিক ডেস্ক: আর মাত্র দুই মাস সময়। এর পরই বিশ্বের শীর্ষ শক্তিধর দেশ যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। সে নির্বাচনের যুদ্ধক্ষেত্রে এ সময়ে মরণপণ লড়াইয়ে নেমেছেন ডেমোক্রেট হিলারি ক্লিনটন ও রিপাবলিকান ডোনাল্ড ট্রাম্প। আগামী ৮ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। তার চূড়ান্ত দুই মাসের প্রচারণা চলছে। সোমবার থেকে তারা এ প্রচারণা শুরু করেছেন। এতদিন দুর্বল অবস্থানে ছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু অকস্মাৎ তিনি শক্তিশালী হয়ে উঠছেন। ফলে অনেকেই সমূহ বিপদের আশঙ্কা করছেন হিলারির জন্য। তাই ওহাইওতে তারা তীব্র প্রচারণা চালাচ্ছেন। দুজনই তাদের ব্যক্তিগত পরিকল্পনা নিয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেছেন। গত ডিসেম্বরের পর এটাই ছিল হিলারি ক্লিনটনের প্রথমবার সংবাদ সম্মেলন। ক্লিভল্যান্ড এলাকায় রাতে জাইরো নামের একটি স্যান্ডউইচ খেয়ে প্রচারণায় নামেন ট্রাম্প। সেখানকার ক্যানফিল্ডে কয়েক হাজার সমর্থকদের নিয়ে র্যালি করেন। হিলারি ক্লিনটন সফর করেন ক্লিভল্যান্ডের একটি সরাইখানা। তবে ক্লিভল্যান্ড বিমানবন্দরে তাদের বিমান দুটি পার্ক করা ছিল প্রায় ২০০ গজের ব্যবধানে। আল জাজিরা
যুক্তরাষ্ট্রের চারটি সুইং রাজ্যের মধ্যে ওহাইও অন্যতম। সুইং রাজ্যগুলোর ভোটের ফল প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বড় ভূমিকা রাখে। সুইং রাজ্যগুলোতে বিশেষ কোনো দলের প্রাধান্য নেই, বিশেষ কোনো দলের সমর্থক নেই। এসব রাজ্যের ভোটাররা এক এক সময় পরিস্থিতি, প্রার্থীর যোগ্যতা বুঝে প্রার্থী খুঁজে নেন। এ জন্য একে বলা হয় সুইং স্টেট। যুক্তরাষ্ট্রে এমন সুইং রাজ্য রয়েছে চারটি। তা হলোÑ ফ্লোরিডা, পেনসিলভ্যানিয়া, ভার্জিনিয়া ও ওহাইও। এ রাজ্যগুলোর ভোটেই মূলত জয়-পরাজয় নিশ্চিত হয়। তাই ভোটারদের মন জয় করতে ওহাইওতে ছুটে যান হিলারি-ট্রাম্প। এরই মধ্যে বেশকিছু জনমত জরিপে দেখা গেছে, প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ফিরে আসছেন ট্রাম্প। রয়টার্স-ইপসোসের সর্বশেষ জরিপ অনুযায়ী, ডোনাল্ড ট্রাম্পকে সমর্থন করছেন শতকরা ৪০ ভাগ মানুষ। আর হিলারিকে সমর্থন করছেন শতকরা ৩৯ ভাগ। ডেমোক্রেট দলের জাতীয় সম্মেলনের পর এটাই হিলারির জন্য প্রথম বড় কোনো অশুভ সংকেত। সম্পাদনা: ইমরুল শাহেদ