ওয়েস্ট পাকিস্তানে বাংলায় স্বাক্ষর প্রথম ব্যাংক একাউন্ট আজাদী সম্পাদকের
শাহানুজ্জামান টিটু : একাত্তরে প্রথম বাংলায় স্বাক্ষরিত যে একাউন্ট ওয়েস্ট পাকিস্তানে কনফেইস করেছে সেটার মধ্য ছিল আমারটা। তখন সেখানে দেড় লাখ টাকা ছিল এখন সেটা কত হয়েছে জানি না। গতকাল মঙ্গলবার সকালে দৈনিক আমাদের অর্থনীতির কার্যালয়ে ‘বৈঠক’ অনুষ্ঠানে একথা বলেন চট্টগ্রাম থেকে প্রকাশিত দৈনিক আজাদী পত্রিকার সম্পাদক আবদুল মালেক। তিনি বলেন, ’৬২ সালে বাবা মারা যাওয়ার পর ’৬৩ সালে আমি করাচি গেলাম। করাচিতে তখন আমাদের একটা অফিস ছিল। আমি চিন্তা করলাম করাচিতে একটা ব্যাংক একাউন্ট খোলা প্রয়োজন। কারণ পত্রিকার বিজ্ঞাপনের মূল সোর্স ছিল করাচি। সেসময় ওখান থেকে যে চেক আসতো তা বাংলাদেশে আমাদের হাতে পৌঁছতে সাত-আট দিন সময় লাগত। আবার এখান থেকে ব্যাংকে দিলে টাকা সংগ্রহ করতে আমাদের আরও পনের-বিশ দিন এমনকি চার সপ্তাহ সময় লেগে যেত। আবদুল মালেক বলেন, এসমস্যা সমাধানে চিন্তা করলাম করাচিতে যদি একটা ব্যাংক একাউন্ট থাকে সেখানে চেকগুলো জমা হবে। পরে আমরা টাকাগুলো ট্রান্সফার করতে পারবো।
তিনি বলেন, কিন্তু আমি সমস্যায় পড়ে যাই ব্যাংকে একাউন্ট খুলতে গিয়ে। ওয়েষ্ট পাকিস্তানের যে ব্যাংকে যাই সেখানে আমার একাউন্ট খোলে না। কারণ আমি বাংলায় সাইন করে একাউন্ট খুলতে চাই। কিন্তু বাংলায় সাইন কোথাও অ্যাকসেপ্ট করছে না। তবে ইউনাইটেড ব্যাংকের একজন বলল, শহরের উপকণ্ঠে ইউনাইটেড ব্যাংকের একটা অফিস আছে। সেখানে একজন বাঙ্গালি অফিসার আছেন। আপনি ওখানে গিয়ে দেখেন, ওনি হয়তো নিলেও নিতে পারেন। যদি ম্যানেজারকে বুঝাতে পারেন। আমি ওই ব্যাংকে গেলাম এবং তাকে কনভিন্স করলাম। আমি বললামÑ ভাই আমি বাংলায় সাইন করে একাউন্টা খুলতে চাই। আপনিতো ইংরেজি এবং উর্দুতে সাইন করছেন। তাহলে আমি বাংলায় করলে অসুবিধাটা কোথায়? ওনি ম্যানেজারকে বুঝালেন ম্যানেজার বিষয়টা বুঝলেন। তখন সেখানে আমি বাংলায় সাইন করে ব্যাংক একাউন্ট খুলেছি। সম্পাদনা: সুমন ইসলাম