প্যারালিম্পিকে স্বর্ণ জয়ের পর মৃত্যুতেও আপত্তি নেই ম্যারিকির
লিহান লিমা: আগামীকাল বুধবার পর্দা উঠছে ২০১৬ সালের রিও প্যারালিম্পিকের। এবারের আসরে স্বর্ণ জয়ই জীবনের শেষ ইচ্ছা প্যারালিম্পিয়ান ম্যারিকি ভারভ্রেতোর। এরপর স্বেচ্ছায় জীবনের অবসান ঘটানোর পরিকল্পনা করছেন তিনি। মেরুদ-ের পীড়াদায়ক রোগের কারণে ঘুমাতে পারেন না বলে এমন ‘যন্ত্রণাহীন মৃত্যু’র জন্য অপেক্ষা করছেন বলে জানিয়েছেন এ সাবেক স্বর্ণ বিজয়ী। এর আগে ২০১২ সালের লন্ডন প্যারালিম্পিকে ১০০ মিটার স্প্রিন্টে তিনি জিতে নিয়েছিলেন স্বর্ণপদক। আর ইউরোপের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো রেকর্ড গড়ে ২০০ মিটারে জয় করেছেন রুপা। এখন তিনি বুধবার শুরু হতে যাওয়া রিওতে প্যারালিম্পিকে পদক জয়ের আশা করছেন। ডেইলি মেইল
দ্য ডেইল এক্সপ্রেসের প্রতিবেদনে বলা হয়, মেরুদ-ের রোগে ভোগা হুইলচেয়ারে বসা ৩৭ বছরের ভারভ্রেতো এখন বিশ্বাস করেন, রিও প্যারালিম্পিক যখন শেষ হবে, এরপর তার বাকি থাকবে শুধু যন্ত্রণাহীন মৃত্যু (বেলজিয়ামে বসবাসকারী দুরারোগ্য রোগে আক্রান্ত যেকোনো নাগরিক যন্ত্রণাহীন মৃত্যুর সিদ্ধান্ত নিতে পারেন)।
ফ্রান্সের গণমাধ্যম দ্য পার্সিয়ানকে তিনি তার প্রতিদিনের জীবন যুদ্ধের কথা উল্লেখ করে বলেন, আমার শেষ ইচ্ছে এখন রিও, এরপর মৃত্যুর মধ্য দিয়েই আমি শান্তি পাব, সবাই আমাকে স্বর্ণ জয়ের জন্য হাসতে দেখে কিন্তু কেউই আমার জীবনের অন্ধকার দিকটি দেখে না। ভারভ্রেতো বলেন, ‘আমি অনেক কষ্ট সহ্য করছি। এমন অনেক রাত যায় যখন আমি মাত্র ১০ মিনিট ঘুমাই। রিওতে স্বর্ণ জেতা ছাড়া আমার আর কোনো ইচ্ছা নেই।
প্রতিবেদনে বলা হয়, ২০০০ সালে প্যারালাইসিসে আক্রান্ত হওয়া ভারভ্রেতো মনে করছেন ২০১৭ সালেই তার জীবনের সমাপ্তি ঘটবে। প্রতিটি দিন তার কাছে কষ্টের ও যন্ত্রণার। তার ডায়রিতে তিনি প্রতিদিন অন্তর্বেদনার কথা লেখেন। উদারহণস্বরূপ জুলাই ১৭- রোববার তার ডায়রির একটি লেখায় তিনি লিখেছেন, ‘যদিও ৪৫ মিনিট ধরে আমি যন্ত্রণাকর সময় পার করেছি কিন্তু এটি আমার ভালো রাতগুলোর মধ্যে একটি। আজ সকালে আমি মাত্র ১ ঘণ্টা ঘুমিয়েছি। কিন্তু এটি কারণ নয়। আমার শরীর অনেক ক্লান্ত হয়ে পড়েছিল। আমার নার্স আমাকে ব্যথানাশক দিয়েছিল এবং আমাকে মন ভালো রাখার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছিল। আক্ষরিকভাবে আমাকে সকল যন্ত্রণা কাটিয়ে ওঠার তালিম দেওয়া হয়েছে।
বেলজিয়ামে ২০০২ সালে স্বেচ্ছামৃত্যুর অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। এতে তিনজন ডাক্তারের অনুমোদন লাগে। সম্পাদনা: রাশিদ রিয়াজ