ভারত, নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে সহজ হবে যোগাযোগ চার লেন হচ্ছে ঢাকা-রংপুর
দেলওয়ার হোসাইন: ঢাকা থেকে রংপুর পর্যন্ত চার লেন সড়ক করার জন্য প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটির সভায় (একনেক) এ প্রকল্পের অনুমোদন দেওয়া হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা।
প্রকল্পের শিরোনাম ‘সাসেক সড়ক সংযোগ প্রকল্প ২ : এলেঙ্গা-হাটিকুমরুল-রংপুর মহাসড়ক চার লেনে উন্নীতকরণ প্রকল্প’। এ প্রকল্পে মোট ব্যয় হবে ১১ হাজার ৮৮১ কোটি টাকা। এ প্রকল্পটিসহ একনেক সভায় মোট ১২ হাজার ৮৯৪ কোটি টাকার সাতটি প্রকল্প অনুমোদন দেওয়া হয়। এরমধ্যে সরকারি তহবিল থেকে ৩ হাজার ৩৬৮ কোটি ৯ লাখ টাকা এবং বৈদেশিক সহায়তা থেকে ৯ হাজার ৫২৫ কোটি ৯২ লাখ টাকা জোগান দেওয়া হবে।
সভা শেষে পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, এলেঙ্গা-হাটিকামরুল-রংপুর মহাসড়কটি জাতীয় মহাসড়কের অংশ। এটি চার লেনে উন্নীত হলে উত্তরঞ্চলের জেলাগুলোতে যানবাহন চলাচল বাড়বে। এছাড়া এটি ব্যবহার করে পরবর্তীতে বাংলাবান্ধা দিয়ে ভারত ও নেপাল এবং বুড়িমারি দিয়ে ভারত ও ভুটানের সঙ্গে সড়ক যোগাযোগ সহজতর হবে।
সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, উন্নত দেশগুলোর মতোই আধুনিক সব সুযোগ-সুবিধা থাকবে এ চার লেনে। প্রকল্পের আওতায় এ সড়কের দুই পাশে ধীরগতি সম্পন্ন যানবাহনের লেনও তৈরি করা হবে। যার ফলে এটি ছয় লেনে প্রশস্ত হবে। এর পাশাপাশি মহাসড়কে ২ হাজার ৬৩৫ মিটারের তিনটি ফ্লাইওভার, ৪১১ মিটারের একটি রেলওয়ে ওভারপাস, ৩২টি ব্রিজ, ১৬১টি কালভার্ট, ১১টি পথচারী ওভারপাস, ৩৯টি আন্ডারপাস এবং একটি ইন্টারচেঞ্জ নির্মাণ করা হবে।
একনেকে অনুমোদিত অন্য প্রকল্পগুলো হলো ২০৮ কোটি ৫৭ লাখ টাকার ঢাকা ও রংপুরের আবহাওয়া রাডারের উন্নয়ন। ২২৯ কোটি ৭৪ লাখ টাকার উদ্ভাবন এবং উদ্যোক্তা উন্নয়ন একাডেমি প্রতিষ্ঠাকরণ। ২১৩ কোটি টাকার বিসিক বৈদ্যুতিক পণ্য উৎপাদন ও হালকা প্রকৌশল শিল্পনগরী। ৮০ কোটি টাকার রাউজানে বিসিক শিল্পনগরী প্রতিষ্ঠা। ২০৫ কোটি ৪৭ লাখ টাকার সিরাজদৌলা রোড থেকে শাহ আমানত ব্রিজ সংযোগ সড়ক পর্যন্ত সড়ক নির্মাণ এবং ৭৬ কোটি টাকার খুলনা জেলার জলাবদ্ধতা নিরসনে ভদ্রা ও সালতা নদী পুনঃখনন প্রকল্প। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি