আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বর্ণবিদ্বেষকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ‘মিস জাপান’ খেতাব জিতে নিলেন ভারতীয় বংশোদ্ভূত ২২ বছর বয়সী প্রিয়াঙ্কা ইয়োশিকাওয়া। তার বাবা কলকাতার বাসিন্দা ছিলেন, তবে মা জাপানি। বিবিসি
জাপানে প্রতিবছর সুন্দরী প্রতিযোগিতা জিতে শ্বেতাঙ্গ জাপানি সুন্দরীরাই। অন্য বর্ণের বা সংকর বর্ণের কেউ তা কোনোদিনই পায়নি। তবে গত বছর এ ধারা ভাঙে। সেজন্য কৃষ্ণাঙ্গ আরিয়ানা মিয়ামোতো মিস ইউনিভার্স জাপান খেতাব জেতার পর থেকেই দেশটিতে হইচই শুরু হয়। আরিয়ানার মিস জাপান হওয়া প্রিয়াঙ্কার সাহস অনেকটা বাড়িয়ে দেয়। কারণ, বর্ণবিদ্বেষের কারণে জাপানে প্রতি পদে অসহনীয় অপমান সহ্য করতে হয়েছে তাকে।
প্রিয়াঙ্কার ভাষ্যÑ আমি জাপানি। কিন্তু তবুও আমার বিশুদ্ধতা নিয়ে আমাকে প্রশ্নের মুখে পড়তে হয়েছে। আমার বাবা ভারতীয়। তবে তার জন্য আমি গর্বিত। তার মানে এ নয় যে, আমি জাপানি নই।
প্রিয়াঙ্কা মাত্র ১০ বছর বয়সে জাপানে যান। তখন থেকেই প্রতি পদে বর্ণবিদ্বেষের শিকার হতে হয়েছে তাকে। কোনোও শ্বেতাঙ্গ তাকে ছুঁলেও মনে করত কোনো নোংরা ছুঁয়েছে। এমন ঘটনাই তাকে মানসিকভাবে আরও শক্ত করেছে বলে খেতাব জিতে জানিয়েছেন প্রিয়াঙ্কা। ৫ ফুট ৮ ইঞ্চির প্রিয়াঙ্কা আগামী ডিসেম্বরে ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত হতে চলা ‘মিস ওয়ার্ল্ড’ প্রতিযোগিতায়ও জাপানের প্রতিনিধিত্ব করবেন। ২০২০ সালের টোকিও অলিম্পিকের কথা মাথায় রেখে জাপান সরকার বিদেশি পর্যটকদের আকর্ষণের জন্য নানাবিধ চেষ্টা চালাচ্ছে। প্রিয়াঙ্কার খেতাব পাওয়া সেই গতিকেই ত্বরান্বিত করবে বলে ভাবা হচ্ছে। সম্পাদনা: ইমরুল শাহেদ