বিপ্লব বিশ্বাস : জঙ্গি আতঙ্কে গুলশান ১ নম্বর গোলচত্বর এলাকায় সকাল থেকেই অনেক পুলিশ মোতায়েন করা হয়। ওই এলাকার একটি ভবন ঘিরে রেখেছিল আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা। সকাল সকাল এত পুলিশ দেখে গুলশানবাসী ফের আতঙ্কিত হয়ে পড়েন। তাদের মনে একটাই আতঙ্ক উঁকি দিচ্ছিল, আবারও কী কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটতে চলেছে। অবশেষে সব জল্পনা-কল্পনা আর আতঙ্কের অবসান হলো। জানা গেল ঘিরে রাখা ওই ভবনে কয়েকজন চোর ঢুকেছিল। তবে ভবনের ভেতর কাউকে পাওয়া যায়নি।
ঢাকা মহানগর পুলিশের কূটনৈতিক জোনের ডিসি জসিম উদ্দিন বলেন, ‘গ্রিল কেটে কয়েকজন ওই ভবনের ভেতরে ঢুকেছে খবর পেয়ে পুলিশ ঘেরাও করেছিল। পরে দেখা গেল চোর চুরি করতে ঢুকেছিল।’
সরেজমিন দেখা যায়, গুলশান ১ নম্বর গোলচত্বরের ৫১ নম্বর ওই ছয় তলা ভবনের দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলায় এলজির শোরুম রয়েছে। চতুর্থ ও পঞ্চম তলায় ইউনিরয়্যাল সিকিউরিটি লি. ও নেক্সিম নামে দুটি সিকিউরিটি কোম্পানির অফিস রয়েছে। ভবনের পেছনের জানালার এবং পাঁচ তলার গ্রিলকাটা। ধারণা করা হচ্ছে এখান দিয়েই চোর পালিয়েছে।
ভবনের নিচে থাকা ব্র্যাক ব্যাংকের এটিএম বুথের নিরাপত্তারক্ষী সবুর মোল্লা বলেন, ‘সকাল ৬টা ৫০ মিনিটের দিকে বুথ ঝাড়ু দেওয়ার সময় ভবনের নিচের কেচি (কলাপসিবল) গেটে শব্দ পেয়ে বের হয়ে দেখি একজন তালা কাটার চেষ্টা করছে। আমি তাকে বলি আপনি তালা কাটছেন কেন? চাবি নেই আপনার কাছে? সে আমার কথা শুনে সিঁড়ি দিয়ে ওপরে চলে যায়।’ এরপর তিনি পুলিশকে বিষয়টি জানান। পরে পুলিশ দ্রুত ওই ভবন ঘিরে ফেলে। ভবনটির পেছনের দুটি লোহার এবং সামনের দুটি কলাপসিবল গেট রয়েছে। ভবনের মালিকের লোক বুলুর বরাত দিয়ে সবুর জানান, বুলু উপরে আরও তিনজনকে দেখছে। তারা বুলুকে চিল্লাচিল্লি করলে মেরে ফেলার হুমকি দেয়।
র্যাব ১-এর উপ-অধিনায়ক মেজর আজম বলেছেন, ‘আমরা খবর পেয়ে সকালে ভবনটির চার ও পাঁচ তলায় অভিযান চালাই। ভবনের ভেতর কাউকে পাওয়া যায়নি। পেছনের গ্রিলকাটা।’
ডিএমপির ভারপ্রাপ্ত কমিশনার শাহবুদ্দিন কোরেশি বলেন, ‘কয়েকজন দুর্বৃত্ত এ ভবনে ঢুকেছিল বলে আমরা খবর পেয়ে পুলিশ পাঠাই। পুলিশ এসে পুরো ভবন নিজেদের নিয়ন্ত্রণে নিয়ে নেয় এবং তল্লাশি চালায়। কিন্তু ভবনের ভেতরে কাউকে পাওয়া যায়নি।’ সম্পাদনা: পরাগ মাঝি