দীপক চৌধুরী: আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, জনগণের চাওয়া অনুযায়ী একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সম্পত্তির বিষয়ে ব্যবস্থা নিতে নতুন আইন করার চিন্তা-ভাবনা চলছে।
গতকাল বুধবার সচিবালয়ে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে মন্ত্রী একথা বলেন। তবে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সম্পত্তির বিষয়ে কী ব্যবস্থা নেওয়া হবে, মন্ত্রী তা স্পষ্ট করেননি।
এ ব্যাপারে আনিসুল হক বলেন, জনগণ কী দাবি করছে, তা তিনি ভালো করেই জানেন। এ ক্ষেত্রে নতুন আইন করাই শ্রেয়। মুসলিম আইনে মানবতাবিরোধী অপরাধীদের সম্পত্তি তাদের ছেলে মেয়েদের নামে চলে গেছে। আদালত বিচারের সময় কোন দিক নির্দেশনা দেয়নি। সেক্ষেত্রে নতুন আইন করে তাদের সম্পতি আইনি প্রক্রিয়ার নেওয়া যেতে পারে।
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে দল হিসেবে জামায়াতের বিচার করতে ট্যাইব্যুনাল আইন সংশোধনের উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে বলে আগেই জানিয়েছিলেন আইনমন্ত্রী। বিচারের পাশাপাশি দলটিকে নিষিদ্ধ করা সময়ের ব্যাপার বলেও জানানো হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে। এই আইন সংশোধন কবে হবে অথবা হবে কি নাÑ জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, আমরা দ্রুত করার চেষ্টা করছি। প্রস্তাবটি মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের অপেক্ষায় আছে।
জামায়াত নিষিদ্ধ হলে তার ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের কী হবে? জানতে চাইলে আইনমন্ত্রী বলেন, ছাত্রশিবির যে কার্যকলাপ করছে, তাদের নিষিদ্ধের ব্যাপারে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে আলাপ-আলোচনা চলছে।
আইনমন্ত্রী জানান, মুক্তিযুদ্ধকালের মানবতাবিরোধী অপরাধে সংগঠনের বিচারের লক্ষ্যে আইন সংশোধনের প্রস্তাব মন্ত্রিসভায় উপস্থাপনের অপেক্ষায় আছে। জামায়াতের বিচারের জন্য উপযুক্ত আইন করা হচ্ছে বলেও ইঙ্গিত দেন মন্ত্রী।
দুই মন্ত্রীর শপথভঙ্গের বিষয়ে জানতে চাইলে আনিসুল হক বলেন, তিনি মনে করেন, তাদের মন্ত্রিত্ব থেকে পদত্যাগ করার প্রয়োজন নেই।
সম্প্রতি এক বিচারপতির বক্তব্যের প্রসঙ্গ টেনে আইনমন্ত্রী বলেন, বিচার বিভাগের জন্য পৃথক সচিবালয় করার বিষয়ে আইন মন্ত্রণালয়ের কিছু করার নেই। সম্পাদনা: মোরশেদ