মাসুদ আলম: চাকরি থেকে অব্যাহতির প্রজ্ঞাপনের পর থেকে নিরুদ্দেশ পুলিশ কর্মকর্তা বাবুল আক্তার প্রায় ২০ ঘণ্টা পর বাসায় ফিরেছেন। তার শ্বশুর মোশাররফ হোসেন জানিয়েছেন, গতকাল দুপুরে তিনি বাসায় ফিরলেও কারও সঙ্গে তেমন কোনো কথা বলেননি। তিন মাস আগে চট্টগ্রামে স্ত্রী মাহমুদা আক্তার মিতু হত্যাকা-ের পর থেকে দুই সন্তানকে নিয়ে শ্বশুরবাড়িতেই রয়েছেন বাবুল।
বুধবার দুপুরে রাজধানীর খিলগাঁও মেরাদিয়ায় ভূঁইয়াপাড়ার ওই বাড়িতে গিয়ে বাবুলের খোঁজ পাওয়া যায়নি। এমনকী বাবুল, তার শ্বশুর মোশারফ হোসেন ও শাশুড়ি সাহিদা আক্তার বাসায় নেই বলে গৃহকর্মী ও আত্মীয়-স্বজনরা জানান। কোথায় গেছে এমন প্রশ্নের জবাবে তারা বলেন, সকালে সবাই একসঙ্গে বাইরে গেছে। ফিরতে রাত হবে।
বুধবার সন্ধ্যায় মোশাররফ হোসেন বলেন, দুপুরে ফিরে দোতলায় অবস্থান করছেন বাবুল। তার সঙ্গে তেমন কোনো কথা হয়নি। তিনি বলেন, বাবুলকে চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়ার বিষয়টি উপরের সিদ্ধান্ত। তবে এর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনি প্রক্রিয়ায় যাওয়ার বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি। কেন তাকে চাকরিচ্যুত করা হলো তা-ও আমার জানা নেই। তিনি আরও বলেন, মঙ্গলবার রাতে সে তার এক আত্মীয়ের বাসায় ছিল, তবে কার বাসায় ছিল, তা জানি না।
এদিকে স্ত্রী মাহমুদা খানম মিতু হত্যায় পুলিশ সুপার বাবুল আক্তারের কোনো সংশ্লিষ্টতা পাওয়া যায়নি বলে জানিয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর পুলিশের কমিশনার ইকবাল বাহার। তিনি বলেন, এখন পর্যন্ত আমাদের কাছে এমন কোনো তথ্য নেই, যে কারণে তাকে গ্রেফতার করব।
পুলিশ সুপার বাবুল আক্তার গ্রেফতার হচ্ছেন এমন খবর সরব থাকলেও পুলিশের ডিআইজি (ক্রাইম) হুমায়ুন কবীর বলেন, আপাতত গ্রেফতার হচ্ছেন না বাবুল। এখনই গ্রেফতারের মতো কোনো খবর তার কাছে নেই। গতকাল সন্ধ্যায় মুঠোফোনে তিনি এ কথা বলেন।
মিতু হত্যামামলার তদন্ত কর্মকর্তা চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন পুলিশের সহকারী কমিশনার মো. কামরুজ্জামান বলেন, এ মামলায় গুরুত্বপূর্ণ আরও যেকোনো ব্যক্তি গ্রেফতার হতে পারে। মামলার যথেষ্ট অগ্রগতি হয়েছে বলেও দাবি করে তিনি বলেন, তদন্তাধীন বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা ঠিক হবে না। তবে এটুকু বলতে পারি আমরা আরও অনেক তথ্য পেয়েছি।
পুলিশ কর্মকর্তারা বলছেন, বাবুল আক্তার গোয়েন্দা নজরদারির মধ্যেই রয়েছেন। গোপনে যেন দেশ ছাড়তে না পারেন সে বিষয়েও সতর্ক রয়েছে গোয়েন্দারা। সম্পাদনা: হাসিবুল ফারুক চৌধুরী