শাহানুজ্জামান টিটু: বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক জাতীয় জাদুঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া ও স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহর করায় সরকারের কঠোর সমালোচনা করেছেন বিএনপির নেতারা। এ বিষয়টি নিয়ে বিএনপি দলীয়ভাবে এখনো আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানায়নি। বিচ্ছিন্নভাবে দলটির নেতারা এ বিষয়ে তাদের প্রতিক্রিয়া প্রকাশ করছেন। তারা বলেন, সরকারের পদক্ষেপ অত্যন্ত ন্যক্কারজনক ও ঘৃণ্য। সারাজাতি এ পদক্ষেপে বিস্মিত। বাংলাদেশের ইতিহাস শেখ মুজিবুর রহমান এবং জিয়াউর রহমানকে বাদ দিয়ে হবে না।
পদক প্রত্যাহারের বিষয়ে দলের পক্ষ থেকে কোনো পদক্ষেপ বা করণীয় নির্ধারণে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত নেয়নি দলটি। জানতে চাইলে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার জমির উদ্দিন সরকার বলেন, শেখ মুজিবুর রহমানকে আমি জাতির পিতা বলি আর না বলি, বঙ্গবন্ধু বলি বা না বলি, শেখ মুজিবুর রহমান আছেন ও থাকবেন। আবার জিয়াউর রহমানের পদক নিয়ে নেন বা ওটাকে বিচ্ছিন্ন করে দেন, তারপরও উনি স্বাধীনতার ঘোষক বা মুক্তিযুদ্ধের সেক্টর কমান্ডর ছিলেন, তা মুছে ফেলা যাবে না।
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান অ্যাড. আহমদ আযম বলেন, শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক প্রত্যাহার বা যাদুঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া জিয়া এবং জিয়ার অবদানকে ইতিহাস থেকে মুছে ফেলার, বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করার, জিয়া পরিবারকে বির্তকিত ও দেশ থেকে, রাজনীতি থেকে ছুঁড়ে ফেলার চক্রান্ত। এসব চক্রান্তের অংশ হিসেবে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতার পদক প্রত্যাহার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, এ সিদ্ধান্ত সরকারের জন্য শুধু আত্মঘাতী নয়, নজিরবিহীন কলঙ্কিত সিদ্ধান্ত। জাদুঘর থেকে পদক সরিয়ে নেওয়া হলেও ইতিহাস থেকে জিয়াকে মুছে ফেলা যাবে না। কারণ জিয়া বাংলাদেশের স্বাধীনতার যুদ্ধে তার ঘোষণা, রণাঙ্গনে তার বীরত্বের কথা এদেশের মানুষের হৃদয়ে গাঁথা রয়েছে। সরকারের কলঙ্কিত কর্মকা-ে জিয়ার ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে না। বরং সরকারের ভাবমূর্তি ক্ষুন্ন হচ্ছে, মানুষের কাছে সরকারের দায়িত্বহীনতা ও হিংস্রতা প্রকাশ পাচ্ছে।
বিএনপির এ নেতা বলেন, এটা নিন্দা জানানোর মতো ভাষা নেই। যদি নির্বাচিত গণতান্ত্রিক সরকার থাকতো তাহলে এ ধরনের ঘৃণ্য পদক্ষেপ তারা নিতো না। এর জবাব সরকারকে জনগণ ব্যালটের মাধ্যমে দেবে এবং একদিন সরকার বুঝতে পারবে জনগণের নেতা কে এবং তার পদক সরিয়ে নিয়ে জনগণের কাছ থেকে ছুঁড়ে ফেলা যায় না। সম্পাদনা: রিকু আমির