মবিনুর রহমান: বাজারে আরেক দফা বেড়েছে চালের দাম। দুই মাসের ব্যবধানে কয়েক দফায় বিভিন্ন জাতের চালের বস্তায় বেড়েছে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা । কেজিতে বেড়েছে ৩ থেকে ৬ টাকা পর্যন্ত। ব্যবসায়ীরা বলছে, ধানের মূল্যবৃদ্ধি ও বন্যার কারণে দুই দফায় চালের দাম বেড়েছে। রাজধানীর বাদামতলীর পাইকারী চালের বাজার ঘুরে দেখা যায়, মিনিকেট প্রতিকেজি ৫০, প্রতি বস্তা ২,১০০ টাকা যা কয়েকদিন আগেও বিক্রি হয়েছে ১,৯০০ টাকায়। পাইজাম বিক্রি হচ্ছে ১,৭৫০ টাকা, পূর্বের মূল্য ছিল ১,৫০০ টাকা । নাজিরশাইল বিক্রি হচ্ছে ২,৩০০ টাকায় যা ২,৫০০ টাকায় পূর্বে বিক্রি হত। এ ছাড়াও লতা, জিরা, ঘুটি, স্বর্ণা, আটাইশ, ঊনত্রিশ ও হাসকি চালের প্রতি বস্তায় দাম বেড়েছে ১০০ থেকে ৩০০ টাকা।
বাদামতলীর চাল ব্যবসায়ী চাঁন তারা রাইস এজেন্সির কর্মকর্তা মহসিন জানান, চিকন চালের তুলনায় মোটা চালের দাম বেড়েছে বেশি। চিকন চাল ১ থেকে দেড়শ টাকা বাড়লেও মোটা চাল বেড়েছে এর দ্বিগুণ।
রাজধানীর কয়েকটি খুচরা বাজার ও এলাকার স্থানীয় দোকান যাচাই করে দেখা যায়, প্রতিকেজি মিনিকেট চাল বিক্রি হচ্ছে ৪৮-৫০ টাকায়, পাইজাম ৩৬-৩৮, নাজিরশাইল ৫০-৫২, স্বর্ণা ৩৬-৩৭, জিরা ৪০-৪২ ও হবি আটাইশ ৩৬-৩৭ টাকায়। প্রায় সব জাতের চালেই প্রতিকেজিতে দাম বেড়েছে ৩-৬ টাকা। তবে সুগন্ধী চাল বিক্রি হচ্ছে আগের দামেই। বিক্রেতারা বলছেন, ব্যবসায়ী ও মিল মালিকদের কাছ থেকে বেশি দামে চাল কিনতে হচ্ছে তাদের।
দাম বাড়ার কারণ জানতে চাইলে, যশোরের শাহজাহান রাইস মিলের মালিক রুহুল আমিন জানান, ধানের দাম বেড়ে যাওয়ায় চালের দাম বাড়ছে। বাজারে ধানের সংকট চলছে বলেও তিনি জানান।
কুষ্টিয়ার রাইস মিল ফ্রেশ এগ্রো ফুড প্রোডাক্টের মালিক ওমর ফারুক জানান, বর্ষায় নতুন ধান নষ্ট হওয়ার কারণে চালের মূল্য বেড়েছে। বাজারে নতুন ধান না আসা পর্যন্ত এর মূল্য আরও কয়েক দফা বাড়বে।
চাল কিনতে আসা তাসলিমা আলম মলি জানান, স্বল্প আয়ের মানুষেরাই মোটা চালের গ্রাহক অথচ মোটা চালেরই দাম বেড়েছে বেশি। ভোগান্তি বাড়িয়েছে তাদের দৈনন্দিন জীবনে। বাজার নিয়ন্ত্রণে সরকারের কার্যকর পদক্ষেপ চান তিনি। সম্পাদনা : বিশ্বজিৎ দত্ত