আন্তর্জাতিক ডেস্ক: বাবা ভারতীয়। কলকাতার মানুষ। কিন্তু সে পরিচয় নিয়ে তার আলাদা মাথাব্যথা নেই। আর দুই মাস পর ওয়াশিংটনে যে বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতা হচ্ছে, সেখানে জাপানের মুখ হিসেবেই নিজেকে তুলে ধরতে চান প্রিয়াঙ্কা ইয়োশিকাওয়া। আনন্দবাজার
বছর বাইশের এ তরুণীর বাবা ছাত্রাবস্থায় জাপানে এসেছিলেন। পরে বিয়ে এ দেশের মেয়ের সঙ্গে। টোকিওতে জন্ম হয় প্রিয়াঙ্কার। তারপর বহুবার ভারতে এসেছেন। তবে নিজেকে জাপানি হিসেবেই চেনাতে আগ্রহী প্রিয়াঙ্কা। মিস জাপান হয়ে বিশ্বসুন্দরীদের লড়াইয়ের মঞ্চে ডাক পেয়েছেন, তাই ভারত থেকে শুভেচ্ছা উপচে পড়ছে তার ঝুলিতে। তাতে খুশি হয়েও প্রিয়াঙ্কা বলছেন, ‘ওদের বলছি আমি ভারতীয় নই। আমার বাবা ভারতীয়। আমি তার জন্য গর্বিত। কিন্তু আমি নিজেকে জাপানি বলতেই পছন্দ করব।’
অবশ্য এ ‘অর্ধেক’ ভারতীয় পরিচয়ের জন্য বিতর্কের মুখে পড়তে হচ্ছে তাকে। জাপানে অনেকেই বলছে, পুরোপুরি জাপানি কোনো নাগরিকেরই বিশ্বমঞ্চে প্রতিনিধিত্ব করা উচিত ছিল। প্রিয়াঙ্কাকে তারা হেনস্তা করছে ‘হাফু’ বলে। জাপানি ভাষায় যার অর্থ, অর্ধেক। মিশ্র জাতির নাগরিককে বোঝাতে হাফু শব্দটাই ব্যবহার করে জাপানিরা।
কিন্তু প্রিয়াঙ্কা এসবে পাত্তা দিতে নারাজ। এর আগে আরিয়ানা মিয়ামোতো নামে এক কৃষ্ণাঙ্গ মহিলার বিশ্বসুন্দরী প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ নিয়েও আপত্তি উঠেছিল জাপানে। এ দেশে জাতিগত এ বৈষম্যের বিরুদ্ধেই লড়তে চান প্রিয়াঙ্কা। তিনি বলেন, ‘আরিয়ানার আগে হাফু মেয়েরা জাপানের প্রতিনিধিত্ব করতে পারত না। ও আমাকে অনেকটাই অনুপ্রাণিত করেছে।’
বাবার সুবাদে ভারতে এসে প্রিয়াঙ্কা অনেকবারই পা রেখেছেন কলকাতা শহরে। সেখানকার আশ্রয়হীন শিশুদের সাহায্য করতে চান। প্রিয়াঙ্কার কথায়, ‘আমি ওদের জন্য একটা বাড়ি বানাতে চাই। বাবা সে ব্যাপারে নানা বৈঠকও করছেন।’ মিস জাপান-এর খেতাব পাওয়ার আগে বিচারকদেরও জানিয়েছেন এ কথা। সম্পাদনা: ইমরুল শাহেদ