পরাগ মাঝি : রাজপথকে দুর্ঘটনার আঁতুড়ঘর বলা যায়। ন্যূনতম অসাবধানতায়ও সেখানে ঘটতে পারে অনেক বড় দুর্ঘটনা। হাইওয়েতে প্রাণনাশী এসব দুর্ঘটনা রোধ করতে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই আছে নানা পরিকল্পনা। তবে এক্ষেত্রে রাশিয়ায় নেওয়া হয়েছে ব্যতিক্রমী এক উদ্যোগ।
দেশটির নিঝনি নভগরোদ অঙ্গরাজ্যের সেভারনি এলাকার একটি ব্যস্ততম রাস্তায় দেখা গেছে এক ব্যতিক্রম দৃশ্য। একটি রাস্তার পথচারী পারাপার এলাকায় গাড়িচালকদের গতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে নিশানা নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে উন্মুক্ত বক্ষদেশ রমনীরা। কর্তৃপক্ষের ধারণা দুর্ঘটনাপ্রবণ এলাকাগুলোতে গাড়িচালকদের গতি নিয়ন্ত্রণ করে ছাড়বেই এই প্রায় নগ্ন নারীরা। ইতোমধ্যেই তারা বেশ কয়েকটি এলাকায় এমন খোলামেলা নারী ট্রাফিকের নিয়োগ দিয়েছে।
এ পরিকল্পনা বাস্তবায়নকারীদের অন্যতম অ্যাভোড্রেজেনিয়া বলেন, বেশিরভাগ মাত্রাতিরিক্ত গতির গাড়ি চালকই পুরুষ; তবে তারা গাড়ির গতি কমিয়ে গতি নিয়ন্ত্রক নারীদের যথেষ্ট সম্মান দেখায়।
ডেইলি মেইল তাদের এক প্রতিবেদনে জানায়, ২০১৩ সালে প্রথম দেশটিতে এমন পরীক্ষা চালানো হয়েছিল। কিন্তু সম্প্রতি কিভাবে প্রতিবছর দেশটির রাস্তায় প্রায় ৩০ হাজার মৃত্যুকে ঠেকানো যায় এমন বিতর্কের অংশ হিসেবে ওই প্রক্রিয়াটি আবারও শুরু করা হয়েছে। দেখা গেছে, যেসব রাস্তায় উন্মুক্ত বক্ষদেশের নারীরা ৬০ ও ৪০ কিলোমিটারের নিয়ন্ত্রক নিশানা নিয়ে দাঁড়িয়েছিল সেসব স্থানে দুর্ঘটনা একদম কমে গেছে। বেশিরভাগ এলাকায় দুর্ঘটনার হার একেবারে শূন্যের কোঠায়। বয়ষ্ক পথচারীরা এই উদ্ভট প্রক্রিয়ার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন প্রায় সময়ই।
একজন অবসরপ্রাপ্ত নারী বলেন, চালকরা আমাদের রাস্তা পার হতে দেয় না। তবে এদের কেউ কেউ রাস্তা পার হতে দিলেও বেশিরভাগই গা করে না। তাদের কেউ কেউ চিৎকার করে এমনও জিজ্ঞেস করে যে, আমরা সেখানে কেন হাঁটছি।
তবে বুক খোলা নারী ট্রাফিকদের একজন বলেন, কোনো গ্রাম কিংবা জনবসতিপূর্ণ এলাকা পাড়ি দেওয়ার সময় রাস্তায় গতি নিয়ন্ত্রক নিশানা থাকা সত্ত্বেও চালকরা সাধারণত তাদের গাড়ির বেগ কমাতে চান না। তাই আমরা তাদের গতি কমাতে বাধ্য করি।
এক চালক এ বিষয়ে বলেন, এটা দারুণ, চমকপ্রদ। রাস্তায় এমন আমি আরও বেশি বেশি দেখতে চাই এবং আমি কথা দিচ্ছি ওই সময়গুলোতে আমি আমার গাড়ির গতি কমিয়ে আনবো। আমি অন্য চালকদেরও এই শিক্ষা দেব। ডেইলি মেইল থেকে