ইমরুল শাহেদ: ফিলিপাইনের নতুন প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তের সরকার সাবেক স্বৈরশাসক ফার্দিনান্দ ই. মার্কোসকে জাতীয় বীরদের সমাধিক্ষেত্রে সমাহিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছে। কাচের বাক্সে বিশেষ ব্যবস্থায় সংরক্ষিত মার্কোসের মরদেহ সেপ্টেম্বরে ফিলিপাইনের উত্তরাঞ্চলে তার এলাকা থেকে ম্যানিলায় নিয়ে আসা হবে। আর সেখানেই জাতীয় বীরদের সমাধিক্ষেত্রে তাকে সমাহিত করার সিদ্ধান্ত নেয় সরকার। এ সিদ্ধান্তের পর ম্যানিলায় শত শত মানুষ প্রতিবাদ-বিক্ষোভ করেছেন।
ফিলিপাইনের সাবেক এ সেনা স্বৈরশাসক ১৯৭২ সালে মার্শাল ল’ জারি করেন এবং গণতন্ত্রকে গলাটিপে হত্যা করেন। এ পরিস্থিতি বজায় থাকে তিনি ক্ষমতাচ্যুত হওয়া পর্যন্ত। তার শাসনামল হত্যা, গুম, ধর্ষণ, সেন্সরশিপ, দুর্নীতির জন্য বিশেষভাবে সুবিদিত। এ সময়ে তার পরিবার দেশের বিপুল অর্থ-সম্পদ লুণ্ঠন করেছে, যার মধ্য থেকে মাত্র ১০ বিলিয়ন ডলার উদ্ধার করা গেছে। তাই মনে করা হচ্ছে, তাকে জাতীয় বীরদের সমাধিক্ষেত্রে সমাহিত করার অর্থ হলো তার অতীতের সব অপরাধ ধুয়েমুছে ফেলা। মার্কোসের মৃত্যুর পর তার পরিবারও দেশে ফিরে এসেছে। কিন্তু তারা রয়ে গেছেন শাস্তির বাইরে।
এ স্বৈরশাসক ১৯৮৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর মারা যান। মৃত্যুর পর তার লাশ সংরক্ষণ করে পরিবার। একই সঙ্গে পরিবারের পক্ষ থেকে তাকে জাতীয় বীরদের সমাধিক্ষেত্রে সমাহিত করার দাবিও জানানো হয়। কিন্তু ফিলিপাইনের মানবাধিকার কর্মীরা বলছেন, মার্কোস কোনো বীর নন। তিনি ফিলিপাইনের অন্ধকার পর্বের সূচনা করেছিলেন। সূত্র : ইন্টারন্যাশনাল নিউইয়র্ক টাইমস
ফিলিপাইনের প্রেসিডেন্ট রদ্রিগো দুয়ার্তে সাবেক স্বৈরশাসক মার্কোসকে বীরোচিত মর্যাদায় সমাহিত করতে চাইছেন। তিনি বলেছেন, সাবেক প্রেসিডেন্ট হিসেবে মার্কোস বীরোচিত মর্যাদায় সমাহিত হওয়ার দাবিদার।