দীপক চৌধুরী: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল বলেছেন, বাংলাদেশে জঙ্গিবাদের ক্ষেত্রে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্র আছে। জঙ্গিবাদ নিয়ন্ত্রণে সরকারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনা আছে। দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে জঙ্গিদের নিয়ন্ত্রণ করতেই হবে। না হলে আমাদের স্বপ্ন বাস্তবায়িত হবে না।
গতকাল বুধবার ‘জঙ্গিবাদের বিপদ ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন। রাজধানীতে একটি জাতীয় দৈনিক পত্রিকার আয়োজনে ওই গোলটেবিল বৈঠকে তিনি আরও বলেন, এই মুহূর্তে জঙ্গিবাদকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারলে আমরা থমকে যাব। আমাদের মধ্যে হতাশা কাজ করবে। তাই আমরা তাদের দমনের সর্বাত্মক চেষ্টা করছি। আমাদের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনাও রয়েছে।
ওই গোলটেবিল বৈঠকে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ পিস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ স্টাডিজের সভাপতি এ এন এম মনিরুজ্জামান, সাবেক নির্বাচন কমিশনার সাখাওয়াত হোসেন, নিরাপত্তা বিশ্লেষক, ইউনিভার্সিটি অব এশিয়া প্যাসিফিকের কোষাধ্যক্ষ ইশফাক ইলাহী চৌধুরী, মানবাধিকার নেত্রী ও সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল, বিশিষ্ট আইনজীবী শাহদীন মালিক, বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) সাবেক শিক্ষার্থী কাশফিয়া নেহরীন ও কুমিল্লা আলিয়া মাদ্রাসার শিক্ষার্থী মো. জুবায়ের।
ধন্যবাদ দিয়ে ওই বৈঠক শুরু করেন প্রথম আলোর সম্পাদক মতিউর রহমান।
জঙ্গিবাদের কারণে বিপদগুলো তুলে ধরে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান বলেন, জঙ্গিদের হাতে যারা মারা গেছেন, তাদের শোকতো রয়েছেই। আর্থিকভাবে যে ধাক্কাটা এসেছে, সেটাও একটা বিষয়। ঢাকার হোটেলগুলো যে ব্যবসা করত, জঙ্গিদের হামলার পরে তা কমে ১০ ভাগের এক ভাগে নেমে এসেছে। পদ্মা সেতুসহ দেশে যেসব বড় উন্নয়নকাজ চলছে, সেগুলোর বিদেশি অংশীদাররাও নিহত হয়েছেন। জাপানের আন্তর্জাতিক সংস্থা জাইকার কয়েকজন বিশেষজ্ঞ গুলশানে হামলায় নিহত হয়েছেন। একজন ইতালিয়ান নাগরিক, যিনি ৩০ বছরের বেশি সময় ধরে এ দেশে রয়েছেন, বাংলাদেশের বন্ধুর মতো তিনি তৈরি পোশাকশিল্পের উন্নয়নে অবদান রেখে গেছেন; তিনিও নিহত হয়েছেন।
সাবেক তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা সুলতানা কামাল বলেছেন, বাংলাদেশ কখনোই জঙ্গিবাদ প্রসারের উপযোগী নয়। আমরা আবেগ দিয়েই বলি, এ দেশের মানুষ সাম্প্রদায়িকতাকে প্রশ্রয় দেয়নি। তবুও কেন আমাদের ছেলেরা এ রকম নৃশংস হত্যায় জড়িত হচ্ছে? নিশ্চয়ই কোথাও একটা বিপর্যয় ঘটেছে। সম্পাদনা : ছামিউল আজম তারেক