এসডিজি‘র সাথে সম্পর্ক রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা করছে সরকার
জাফর আহমদ: টেকসই উন্নয়ন অভীষ্টের (এসডিজি) সাথে সম্পর্ক রেখে উন্নয়ন পরিকল্পনা নির্ধারণ করছে সরকার। যাতে ২০৩০ সালে টেকসই উন্নয়ন নিশ্চিত করার পাশাপাশি বর্তমান সরকারের ঘোষিত ২০৪১ সালে দেশকে উন্নত দেশের কাতারে নেওয়ার পথ প্রশস্ত হয়।
গতকাল বুধবার রাজধানীর আগারগাঁও পিকেএসএফ মিলনায়তনে ‘বাংলাদেশে এসডিসি বাস্তবায়ন: অগ্রগতি ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এ কথা বলেন। পিকেএসএফ এর চেয়ারম্যান কাজী খলীকুজ্জামান আহমেদ এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল ইসলাম। অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন, প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের ইনোভেশন ইউনিটের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মো. আ. হালিম। স্বাগত বক্তব্য রাখেন, পিকেএসএফ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক আ. করিম।
এসডিজি এজেন্ডা নির্ধারণের পর লক্ষ্য বাস্তবায়নে সরকার এক বছরে কি কর্মকা- গ্রহণ করেছে তা তুলে ধরেন আ. হালিম। তিনি বলেন, গত এক বছর এসডিজি বাস্তবায়নের ২০৩০ সাল পর্যন্ত আমাদের কি কি করতে হবে তা মন্ত্রণালয় ভিত্তিক পথনকশা করা হয়েছে। মিলেনিয়াম উন্নয়ন অভীষ্ট (এমডিজি) বাস্তবায়ন হলেও অনেক স্টেক হোল্ডার এমডিজি বাস্তবায়নে তার করণীয় জানতেন না। এ ধরনের অভিজ্ঞতা নিয়ে আগে থেকেই টেকসই উন্নয়ন অভিষ্ট অর্জনে কার কি ভূমিকা নিশ্চিত করা হচ্ছে। এসডিজি বাস্তবায়ন সুষম, টেকসই ও ফলপ্রসূ করার জন্য সংশ্লিষ্টদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
টেকসই কর্মস্থানে যেতে কৃষি থেকে সার্ভিস খাতে, সার্ভিস খাত থেকে শ্রমঘন ও উৎপাদনমুখি শিল্পের দিকে যেতে কি ধরনের পথনকশা প্রয়োজন তা নেই বলে উল্লেখ করেন আ. হালিম।
পররাষ্ট্র সচিব শহিদুল ইসলাম বলেন, এসডিসি বাস্তবায়ন একটি আপেক্ষিক বিষয়। সম্পদ বন্টনের ক্ষেত্রে এসডিজির এজেন্ডাতে কোনো নির্দেশনা নেই। মানুষের সম্পদ বন্টন ও আয় রোজগার বৈষমের কারণে এ অবস্থার সৃষ্টি। মধ্যপ্রাচ্য জুড়ে যেখানে শান্তি ও স্থিতিশীলতার জন্য চেষ্টা চলছে। জঙ্গি ও সন্ত্রাস সেখানে প্রধান শত্রু। উন্নত বিশ্বে¦ও যেখানে সন্ত্রাস মোকাবিলায় হিমসিম খাচ্ছে। বাংলাদেশও যেখানে জঙ্গি মোকাবিলা করছে। সেখানে এসডিসি বাস্তবায়নে কতটা সার্বজনীন ও অব্যর্থ হবে তা ভেবে দেখার বিষয়। সম্পাদনা: শাহানুজ্জামান টিটু