ঈদে নতুন জামা-কাপড় পেলে খুব খুশি হতাম
শাইখুল হাদিস আল্লামা আশরাফ আলী
সহ-সভাপতি, কওমি মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক)
প্রিন্সিপাল, জামিয়া শরঈয়্যা মালিবাগ, ঢাকা
‘ঈদ’ মুসলিম জাতির ঐতিহ্যবাহী উৎসবের দিন। জাতীয় খুশির দিন। এ দিনটি আমাদের বৃদ্ধ বয়সে যেমন খুশির দিন; ছোটবেলায় আরও বেশি খুশির দিন ছিল। তখন ঈদের আগের দিন থেকেই ঈদের আমেজ শুরু হতো। বাড়ি বাড়ি আনন্দ উল্লাস হতো। এদিনে একে অন্যের প্রতি সহমর্মিতা প্রদর্শন হতো। অন্যায় কাজ ছাড়া ভালো কাজ বেশি বেশি করা হতো। খানাপিনা মেহমানদারী ছিল আমাদের সময়ে বড় বিষয়।
ঈদে নতুন জামা-কাপড় পেলে খুব খুশি লাগতো। এখন বুড়ো বয়সেও নতুন কিছু পেলে আনন্দ পাই। এ আনন্দ সাধারণত সবাই পেয়ে থাকে। ছোটবেলায় সে অনন্দের মাত্রাটা ছিল অনেক। আমাদের আর্থিক অবস্থা ভালো থাকায় প্রতি ঈদেই আল্লাহর রহমতে নতুন জামা পেতাম।
ছোটবেলায় আব্বার সাথে ঈদের নামাজ পড়তে যেতাম। উৎসাহ উদ্দীপনার সাথে নামাজ আদায় করতাম। নামাজ শেষে বাড়িতে এসে ভালো খাবার খেতাম। এখন ছোট ছোট ছেলে-মেয়েরা মুরব্বিদের থেকে ঈদ সালামি নিয়ে থাকে। আমাদের সময়ে সেটা ছিল না। বড়রা যে ছোটদের ঈদসালামি দিয়ে থাকেÑ আমার কাছে বিষয়টা উদারতার পরিচয় বহন করে। ¯েœহ-ভালোবাসা থেকে এমনটা হয়ে থাকে। এতে করে নিষ্পাপ ছেলেমেয়েরা অনেক খুশি হয়। পুরোটা দিন তাদের আনন্দে কাটে।
বর্তমান সমাজে ঈদের দিনে অনেক নিন্দনীয় কাজ চোখে পড়ে। রাস্তা-ঘাটে নাচ-গানের আসর জমে। যুবতীরা বেহায়ার মতো বাড়ি বাড়ি ঘুরে বেড়ায়। আমাদের মনে রাখা উচিতÑ মানুষের জীবনটা স্বাধীন নয়। আমাদের জীবন নিয়ন্ত্রিত। আনন্দ খুশি সীমার ভেতরে থেকে করতে হবে। হিসাব করে করে করতে হবে। কারণ, আমার প্রতিটি কাজের জন্য আল্লাহর কাছে জবাবদিহি করতে হবে। তাই বলবÑ ঈদের আনন্দ উপভোগ করুন, তবে সকল প্রকার গুনাহ থেকে মুক্ত থেকে। আল্লাহ আমাদের বোঝার তাওফিক দান করুন। আমিন।
শ্রুতি লিখন : আমিন ইকবাল