ঈদের নামাজের নিয়ম
া শাহানেওয়াজ ইফতেখার
ঈদের নামাজ বছরে পড়তে হয় মাত্র দুইবার, ফলে অনেকেই এর নিয়মকানুন একটু গুলিয়ে ফেলেন। অনেকেই কখন হাত বাঁধবেন, কখন হাত না বেঁধে ছেড়ে দেবেন এটা নিয়ে খুব চিন্তিত থাকেন, এমনকি অনেকে একবার ডানপাশের লোকেরটা অনুসরণ করেন আরেকবার বামপাশের লোকেরটা অনুসরণ করেন। অথচ বিষয়টা খুবই সহজ। মূলত বিব্রত হতে হয় অতিরিক্ত ৬টি তাকবির নিয়ে।
প্রথমে ঈদের নামাজের নিয়ত করে তাকবির (আল্লাহু আকবর) বলে তাহরিমা বাঁধতে হবে ইমামের সাথে সাথে। এরপর নীরবে সুবহানাকা ও তাসমিয়া পাঠ করতে হবে।
এরপর ইমাম তিনবার উচ্চঃস্বরে তাকবির বলবে। প্রত্যেকবার তাকবির বলবার সাথে সাথে কানের লতি পর্যন্ত হাত তুলতে হবে। প্রথম দুইবার হাত নিচে ছেড়ে দিতে হবে আর তৃতীয়বার হাত বুকের নিচে বাঁধতে হবে। তারপর ইমাম উচ্চঃস্বরে সুরা ফাতিহা ও অন্য কোন সুরা বা আয়াত পাঠ করবেন। মুক্তাদিগণ তা শুনবে। ইমামের পেছনে রুকু-সেজদা করে দ্বিতীয় রাকাতে একই ভাবে সুরা ফাতিহা ও অন্য কোন সুরা বা আয়াত পাঠ করতে হবে। দ্বিতীয় রাকাতের শেষে রুকুতে যাওয়ার আগে ইমাম তিনবার তাকবির পাঠ করবেন। তিনবারই হাত ছাড়িয়া দিতে হইবে, বুকে বাঁধা যাবে না। এই তিন তাকবির বলার সময় প্রত্যেক বার কানের লতি পর্যন্ত হাত উঠিয়ে তাকবির বলার পর দুই হাত দুই পাশে ঝুলিয়ে রাখবে এবং হাত ঝুলন্ত থাকা অবস্থায়ই তাকবির বলে রুকুতে যেতে হবে। এরপর সাধারণ নামাজের মতোই ইমাম নামাজ শেষ করবেন।
নামাজ শেষে ইমাম খুতবা পাঠ করবেন ও সবশেষে মুনাজাত করবেন। জুম্মার নামাজের আগে খুতবা পাঠ করা হয়। কিন্তু ঈদের নামাজের শেষে খুতবা পাঠ করা হয়।
নামাজের নিয়ত (বাংলায়)
আমি আল্লাহর ওয়াস্তে কিবলামুখী হয়ে ঈদুল আযহার দুইরাকাত ওয়াজিব নামাজ ছয় তকবিরের সাথে এই ইমামের পিছনে আদায় করিতেছিÑ আল্লাহু আকবর।
খুতবার সময় কথাবার্তা বলা, চলাফেলা করা, নামাজ পড়া সম্পূর্ণরূপে হারাম। কারও ঈদের নামাজ ছুটে গেলে কিংবা যে কোনো কারণে নামাজ নষ্ট হয়ে গেলে পুনরায় একাকী তা আদায় বা কাজা করার কোনো সুযোগ নেই। তবে চার বা তার অধিক লোকের ঈদের নামাজ ছুটে গেলে তাদের জন্য ঈদের নামাজ পড়ে নেয়া ওয়াজিব। নামাজ এর পর অবশ্যই খুতবা শুনবেন, খুতবা শোনা ওয়াজিব। আল্লাহ পাক আমাদের সঠিক নিয়মে নামাজ পড়ার তাওফিক দিন। আমিন