কোরবানির পশুর মাংস সংরক্ষণ করবেন কিভাবে?
কোরবানির পশুর মাংস সংরক্ষণের কিছু নিয়ম রয়েছে যা মেনে চললে মাংসের অপচয় রোধ করা সম্ভব। নিম্নে তা উল্লেখ করা হলোÑ
মাংসের সঠিক সংরক্ষণ পদ্ধতি:
কোরবানির ঈদে মাংসের সরবরাহ থাকে প্রচুর। তৈরি করা যায় বিভিন্ন স্বাদের ও বিভিন্ন ঢঙের মাংসের আইটেম। মাংস প্রাণিজ প্রোটিনের খুব ভালো উৎস। কাজেই সঠিকভাবে সংরক্ষণ করতে পারলে কোরবানির ঈদের পর্যাপ্ত মাংস দিয়ে কাটিয়ে দেওয়া যাবে নির্দ্বিধায় দুই মাস।
হালকা লবণ ও হলুদ দিয়ে মাংসগুলোকে তাপ দিলে তা অনেকদিন সাধারণ তাপমাত্রায়ই রাখা যায়। আবার ভিনেগার দিয়েও মাংস সংরক্ষণ করা যায়। কোনো টিন বা বোতলে ভিনেগারে মাংস সম্পূর্ণভাবে ডুবিয়ে রাখলে মাংস ভালো থাকে অনেকদিন। ভিনেগার যদি না পাওয়া যায়, তাহলে তার পরিবর্তে লেবুর রস ব্যবহার করা যেতে পারে। মাংসের টুকরোগুলোকে লেবুর রস দিয়ে মাখিয়ে ক্যানড করলে মাংস ভালো থাকে অনেকদিন। ভিনেগার বা লেবুর রস ব্যবহার করলে মাংস সংরক্ষণের পাত্রটি ডিপ ফ্রিজে না রেখে রেফ্রিজারেটরে সাধারণ তাপমাত্রায় রাখতে হবে। মাংস সংরক্ষণের সবচেয়ে আদি পদ্ধতি হলো, মাংস রোদে শুকিয়ে নেওয়া। হালকা লবণ দিয়ে মেখে নিয়ে রোদে ভালোভাবে শুকালে এই মাংস ভালো থাকে অনেকদিন। তবে শুকানোর পর অবশ্যই মাংসগুলো টিনে ভালো করে এঁটে রাখতে হবে, নয়তো পোকামাকড়ের আক্রমণে তার আবার পুষ্টি অপচয় হবে।
গ্রন্থনা: শরিফুল ইসলাম