হজযাত্রায় ভোগান্তিগুলো দূর করা যায় সহজেই
া মুফতি মুহাম্মদ আমিমুল ইহসান
সেক্রেটারি জেনারেল; ইসলামিক ফিকহ একাডেমি
হজের সফর পরম সৌভাগ্যের। কারণ হজ সম্পাদনকারী সদ্যভূমিষ্ট শিশুর মতো বাড়িতে ফিরে আসে। মাকবুল হজের প্রতিদান জান্নাত। মহান আল্লাহ আমাকে হজের জন্য নির্বাচিত করেছেন এই শুকরিয়া জ্ঞাপন করে শেষ করতে পারবো না। এবার আমার ৬ষ্ট তম হজের সফর। প্রথমবার কাবা দেখার পর সেটি জিয়ারতের জন্য মন সব সময় অস্থির থাকে। সব সময়ই ছুটে যেতে ইচ্ছে করে রাসুল সা. এর রওজায়। এটি মুসলিম বান্দার হৃদয়ের গভীর ভালোবাসা। যারা এখনো বাইতুল্লাহর মুসাফির হতে পারেননি তারা এই হজের স্বাদ ও ব্যকুলতা বুঝতে সক্ষম হবে না কখনো।
আল্লাহর নির্দেশ পালনার্থে ও তাঁর সন্তুষ্টি অর্জনের জন্যই প্রতিটি মানুষ হজ করে থাকে। আমিও সেই লক্ষ্যের কাবার মেহমান হতে চলেছি। রাসুল সা. এর কদম মুবারকে সালাম পৌঁছাতেই আমার এ সফর। হজের সফরে পরিবহন সংকট প্রায় সময় দেখা যায়। এবারও এ জটিলতা পোহাতে হয়েছে হজযাত্রীদের। তবে এই ভোগান্তি কাটানো সম্ভব সহজেই। যেটি করতে হবে সরকারকে। বিমান এয়ারলাইন্স ছাড়াও এমিরেটস, কুয়েত, কাতার, পিআই, ইত্তেহাদ ও জেট এয়ারলাইন্সকে হাজি বহনের অনুমতি দেয়া যেতে পারে। এতে পরিবহন সংকট সহজেই কাটানো সম্ভব। হাজিদেরও আর অপেক্ষা করতে হবে না ফ্লাইটের জন্য।
হজ করতে যেয়ে ট্রাভেলস কর্তৃক হয়রানির অভিযোগও শুনা যায় যাত্রীদের মুখে। আবাসস্থল, যাতায়াত সুবিধা, খাদ্য এসব বিষয়েও ভোগান্তি কম হয় না। এর জন্য হাজযাত্রীদের সচেতনতা জরুরি। অনেক সময় কম টাকায় হজে গেলে এবং সরাসরি ট্রাভেলসের মাধ্যমে না গেলে এমন ধরনের সমস্যা হয়ে থাকে। আর এই সমস্যার মুখোমুখি বেশি হন গ্রামের হজযাত্রীরা। এর জন্য সচেতনতা জরুরি। ট্রাভেল মালিকদের জন্য পরামর্শ থাকবে আপনারা হজের মতো গুরুত্বপূর্ণ ইবাদতে হাজিদের এমন দুর্ভোগের মুখোমুখি করবেন না। তারা আল্লাহর মেহমান তাদের সম্মানের সঙ্গে হজ করানো আপনাদের দায়িত্ব। না হলে পরকালে কঠিন জবাবদিহিতার মুখে পড়তে হবে সবাইকে। শ্রুতি লেখক: রোকন রাইয়ান