ফারুক আলম: জিয়াউর রহমানের নামে শহীদ জিয়া শিশুপার্কটি থাকবে না। সেখানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিকেন্দ্র নির্মাণের জন্য ইতোমধ্যে প্রধানমন্ত্রী অর্থ বরাদ্দ দিয়েছেন। অল্প সময়ের মধ্যে কর্মযজ্ঞ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী আ ক ম মোজাম্মেল হক।
গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানী ধানমন্ডির ডব্লিউভিএ মিলনায়তনে ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির আয়োজনে ‘৭১-এর গণহত্যা থেকে গুলশান হত্যাকা- বিচার বিঘিœতকরণের চক্রান্ত’ শীর্ষক আলোচনা সভায় মুক্তিযুদ্ধবিষয়কমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
জিয়ার কবরে তার (জিয়াউর রহমান) দেহ নেইÑ এমন দাবি করে মন্ত্রী বলেন, আমি চ্যালেঞ্জ করছি। ডিএনএ টেস্ট করান। যদি সেখানে জিয়ার দেহ থাকে, তাহলে নাকে খত দিয়ে জাতির কাছে ক্ষমা চাইব।
সংসদ ভবন এলাকা থেকে জিয়ার কবর সরানোর বিষয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে স্পিকারকে আগেও চিঠি দিয়েছি। আবারও লিখেছি। লুই আই কানের নকশা ভঙ্গ করে সেখানে জিয়ার কবর বসানো হয়েছে। যুদ্ধাপরাধীদের সন্তানরা এ দেশে প্রথম শ্রেণির নাগরিক হতে পারবে না বলে মন্তব্য করে মোজাম্মেল হক, তারা হবে দ্বিতীয় শ্রেণির নাগরিক। তারা কখনো রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পালন করতে পারবে না। একই সঙ্গে পাকিস্তানের ১৯৫ যুদ্ধাপরাধীর বিচার করতে আর কোনো বাধা নেই বলে উল্লেখ করেন মন্ত্রী।
ঘাতক দালাল নির্মূল কমিটির উপদেষ্টা সাবেক বিচারপতি সৈয়দ আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন, মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘরের ট্রাস্টি মফিদুল হক, শহীদজায়া শ্যামলী নাসরিন চৌধুরী, পান্না কায়সার, প্রজন্ম ‘৭১-এর অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা শহীদপুত্র তানভীর হায়দার চৌধুরী। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন কমিটির নির্বাহী সভাপতি শাহরিয়ার কবির। সম্পাদনা: সৈয়দ নূর-ই-আলম