নাশরাত আর্শিয়ানা চৌধুরী : জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পুরস্কার বাতিল করার কারণে তা জাতীয় জাদুঘর থেকে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে ৮ সেপ্টেম্বর। কিন্তু বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের পদক ও সম্মাননাপত্রটি এখনো জাদুঘরের স্টোর রুমেই রয়েছে। সেখান থেকে সরানো হবেÑ নাকি প্রদর্শনীতে দেওয়া হবে এ ব্যাপারে জাতীয় জাদুঘরের পক্ষ থেকে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের কাছে জানতে চাওয়া হয়। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে এ ব্যাপারে কোনো কিছুই জানানো হয়নি তাদের। মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে জাদুঘর কর্তৃপক্ষকে বলা হয়েছে, বঙ্গবন্ধুর পুরস্কার যে রকমভাবে আছে, সে রকমই থাকবে। সরকারের উচ্চপর্যায় থেকে সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে পরে এ ব্যাপারে যা-ই হোক করা হবে।
জিয়ার পদক ফেরত নেওয়ার পর বঙ্গবন্ধুর পদকের ব্যাপারে মন্ত্রিপরিষদের যুগ্ম সচিব ও সহকারী সচিবকে বঙ্গবন্ধুর পদকের ও সম্মাননার কথাটি আনুষ্ঠানিকভাবে জানানো হয়।
বঙ্গবন্ধুর পদক জাদুঘরের স্টোরেই রাখা হবে এমনটাই তারা ভাবছেন কিনা জানতে চাইলে জাতীয় পুরস্কার প্রদানসংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটির একজন মন্ত্রী বলেন, এ ব্যাপারে এখনই চূড়ান্ত কিছু বলা যাবে না। এ ব্যাপারে আমরা আলোচনা করলে ও সিদ্ধান্ত নিতে হলে প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে বিষয়টি নিয়ে আগে পরামর্শ করতে হবে। কারণ তিনি বঙ্গবন্ধুর উত্তরাধিকারী। সে হিসেবে তার মতামত সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর আগে ২০০৩ সালে যখন পুরস্কার দেওয়া হয় তখন আওয়ামী লীগের তরফ থেকে ও তার উত্তরাধিকারীদের তরফ থেকে সেটি প্রত্যাখ্যান করা হয়। সাধারণভাবেই একবার প্রত্যাখ্যাত পুরস্কার আবার মেনে নিয়ে সেটা প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা যায় না। তারপরও বিষয়টি নিয়ে আরও আলোচনা করে এ ব্যাপারে একটি সিদ্ধান্ত হতে পারে। কারণ তখন পুরস্কারটি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছিল বঙ্গবন্ধুকে জিয়ার সঙ্গে পদক দিয়ে বিএনপি দুই নেতাকে এক কাতারে নেওয়ার চেষ্টা করেছে। বঙ্গবন্ধুকে হেয় করেছে। এটা মেনে নেওয়া সম্ভব ছিল না।
জাদুঘরের সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, আর কোনো সিদ্ধান্ত না এলে সেটি জাদুঘরের স্টোরেই থাকবে।
এদিকে জিয়াউর রহমানের স্বাধীনতা পদক ও সম্মাননাপত্রটি ফেরত নেওয়া হলেও জাদুঘর কর্তৃপক্ষের কাছে এখনো জিয়ার রহমানের বেশ কিছু স্মৃতি চিহ্ন, নিদর্শন, ব্যবহৃত জিনিস, তার কণ্ঠে দেওয়া ২৬ মার্চের ভাষণের কপি, পোট্রেটসহ বিভিন্ন জিনিস রয়েছে। যেগুলো চারদলীয় জোট সরকারের আমলে জাতীয় জাদুঘরে ‘জিয়া কর্নার’-এর জন্য দেওয়া হয়েছিল। ওইসব জিনিসগুলো জাদুঘরের স্টোর রুমে রয়েছে। সেগুলো ফেরত নেওয়া হবে না কী করা হবে সে ব্যাপারে কোনো নির্দেশনা আসেনি। এ কারণে সেগুলো আমাদের কাছে থাকবে।