যানজটে দুর্ভোগ বাড়ছে ঘরমুখো মানুষের
হাসিবুল ফারুক চৌধুরী : ঈদে ঘরমুখো মানুষ গতকাল মহাসড়কের কয়েকটি এলাকায় দীর্ঘ যানজটে পড়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার ছিল ঈদের আগের শেষ কার্যদিবস। তাই সকাল থেকেই অনেকে রাজধানী ছাড়তে শুরু করেন। তবে যানজটের কবলে পড়ে দুর্ভোগ পোহাতে হয়।
মানিকগঞ্জ প্রতিনিধি জানান : ঢাকা থেকে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে যাওয়ার পথে পাটুরিয়া ফেরিঘাটে যানবাহনের দীর্ঘ সারি। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট থেকে খুলনা মহাসড়কে বাংলাদেশ হ্যাচারিজ পর্যন্ত দুই প্রান্তে পাঁচ শতাধিক গাড়ি দিনভর আটকা পড়ে ছিল। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআইডব্লিউটিএ) পাটুরিয়া ঘাটের সহকারী মহাব্যবস্থাপক (এজিএম) জিল্লুর রহমান বলেন, এপারে পাঁচটি ঘাটের সব কয়টি সচল রয়েছে। তবে ওপারে দৌলতদিয়ায় চারটি ঘাটের মধ্যে দুটি অচল থাকায় যানবাহন ও যাত্রী পারাপারে জট সৃষ্টি হয়েছে। তিনি জানান, পদ্মার ওই পারে নদীর প্রচ- স্রোত। দৌলতদিয়া তিন নম্বর ঘাটে দীর্ঘ ১৮ ঘণ্টা মেরামতকাজ চলার পর গত বুধবার রাত সাড়ে ৩টার দিকে আবারো ভেঙে যায়।
এদিকে রাজবাড়ী প্রতিনিধি জানান, দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌপথের দৌলতদিয়া অংশের চারটি ঘাটের মধ্যে দুটি একদিন বন্ধ থাকার পর আবার চালু হয়েছে। দৌলতদিয়া ফেরিঘাট ব্যবস্থাপক শফিকুল ইসলাম জানান, গতকাল বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টায় ২ নম্বর ও সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ৩ নম্বর ঘাট চালু হওয়ার পর যানবাহন পারাপার শুরু হয়েছে।
গাজীপুর প্রতিনিধি জানান, উত্তরাঞ্চল থেকে যারা ঢাকায় আসছেন আর ঢাকা থেকে যারা ফিরছেনÑ তাদের সবাই দুর্ভোগে পড়েছেন। ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের বিভিন্ন স্থানে গরু ও মালবাহী ট্রাক বিকল হয়ে পড়ায় যানজট তীব্র আকার ধারণ করছে। গাজীপুরের চন্দ্রা থেকে টাঙ্গাইলের পাকুল্যা পর্যন্ত প্রায় ২৫ কিলোমিটার যানজট।
দাউদকান্দি প্রতিনিধি মোশায়ারা আক্তার জলি জানান, মেঘনা সেতুতে গাড়ি বিকল আর অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৪০ কিলোমিটার দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়েছে। গত তিন দিনের যানজটের রেশ কাটতে না কাটতেই বুধবার রাত থেকে গতকাল পর্যন্ত মহাসড়কের দাউদকান্দি উপজেলার গৌরীপুর থেকে মেঘনা-গোমতি সেতু পার হয়ে সোনারগাঁও উপজেলার কাচপুর পর্যন্ত যানজট সৃষ্টি হয়েছে। চার লেনের গাড়িগুলো দুই লেন সেতুর ওপর দিয়ে ধীর গতিতে চলতে হয়। তাছাড়া অতিরিক্ত মালবোঝাই ট্রাক সেতুর ওপর উঠে বিকল হয়ে পড়ে।