হিলারির ই-মেইল কেলেঙ্কারি নিয়ে আবার শুনানি হবে
মমিনুল ইসলাম: যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিলারি ক্লিনটনের ই-মেইল কেলেঙ্কারির ঘটনায় আবারও শুনানি গ্রহণ করতে যাচ্ছে মার্কিন হাউস। ওয়াশিংটন ডিসির ক্যাপিটল হিলে শিগগির এ শুনানি গ্রহণ করা হবে বলে জানানো হয়েছে। এতে এফবিআইর পরিচালক জেমস কোমি, পররাষ্ট্র দফতরের শীর্ষ কর্মকর্তা ও সম্ভাব্য হিলারি ক্লিনটনের উপদেষ্টা সিডনি ব্লুমেন্থালের সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। সূত্র: ডেইলি কলার। মার্কিন ‘হাউস ওভারসাইট’ ও ‘গভর্নমেন্ট রিফর্ম কমিটি’র চেয়ারম্যান উটাহ রেপ জ্যাসন চ্যাফেজ বলেছেন, ‘আমরা শুনানি গ্রহণ করব।’ মঙ্গলবার রক্ষণশীল রেডিও উপস্থাপক হিউ হেউইটকে তিনি এ কথা জানান।
চ্যাফেজ বলেন, আগামী সপ্তাহে হাউসের জুডিসিয়ারি কমিটির সম্মুখে কোমিকে কঠোরভাবে সমালোচিত করা হবে। এছাড়া এ সপ্তাহে ওভারসাইট কমিটিতে পররাষ্ট্র দফতরের ক্যারিয়ার কর্মকর্তা প্যাট্রিক কেনেডির সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। কেনেডি পররাষ্ট্র দফতরের কার্যক্রম দিনের পর দিন দেখভাল করে আসছেন।
তিনি আরও জানান, বৃহস্পতিবার ব্যবস্থাপনাবিষয়ক সহকারী সচিব সি. কেনেডির শুনানি অনুষ্ঠিত হবে। অন্যান্য নিমন্ত্রিত ব্যক্তিদের সঙ্গে তার সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে। ই-মেইল বিষয়ে তথ্য নিয়ে কেন রাজনৈতিক খেলা করা হয়েছে তা জানতে চাওয়া হবে।
এদিকে, হিলারি ক্লিনটনের ব্যক্তিগত ই-মেইল ব্যবহারের বিষয়ে করা তদন্ত-সংশ্লিষ্ট নথি শুক্রবার প্রকাশ করেছে এফবিআই। এতে দেখা যায়, প্লেইট রিভার নেটওয়ার্কের কর্মচারীরা ২০১৫ সালের মার্চে ক্লিনটনের ই-মেইল ব্যাক আপ মুছে ফেলেন। ক্লিনটনের ই-মেইল রেকর্ড বিষয়ে আদালত আদেশ জারি করার পর তা মুছে ফেলা হয়।
পররাষ্ট্র দফতর ত্যাগ করার পর ২০১৩ সালে প্লেইট রিভারকে ভাড়া করেন ক্লিনটন। কোম্পানিটি ই-মেইল মুছে ফেলতে ‘ব্লিচবিট’ নামে একটি সফটওয়ার ব্যবহার করে। এফবিআইর তদন্তে বলা হয়, প্লেইট রিভার গত মার্চে হিলারি ক্লিনটন ও বিল ক্লিনটনের স্টাফ সদস্যদের সঙ্গে কনফারেন্স কল করেছেন। সেই সাথে হিলারি ক্লিনটনের আইনজীবীদের সঙ্গেও কথা বলেছে কোম্পানিটি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী থাকার সময় হিলারি ১৩টি মোবাইল ফোন সেট ব্যবহার করেছিলেন। এগুলোর কয়েকটি ধ্বংস করে ফেলা হলেও বাকিগুলো পাওয়া যাচ্ছে না। সম্পাদনা: পরাগ মাঝি