পিছু হটবে না পাকিস্তান, কাশ্মীরসংকটে নতুন মোড়
নূসরাত জাহান : কাশ্মীর নিয়ে এক চুলও ছাড় দিতে নারাজ পাকিস্তান। উল্টো কাশ্মীর প্রশ্নে কূটনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন করার কথা জানান দিলো দেশটি। প্রয়োজনে কাশ্মীরের শত্রুদের বিরুদ্ধে অস্ত্র তুলে নিতেও তারা দ্বিধা বোধ করবে না।
কাশ্মীরের চলমান সংকট নিয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের সম্পর্ক গত দু’মাসে এমনিতেই তলানিতে ঠেকেছে। এরই মধ্যে পাকিস্তান সেনাপ্রধান রাহিল শরিফ এমনই বার্তা দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘কাশ্মীরকে স্বাধীন করতে আমরা কূটনৈতিক ও নৈতিক সমর্থন করে যাব। কারণ, কাশ্মীর আমাদের লাইফ লাইন’। এমনিতেই পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কাশ্মীরের বিচ্ছিন্নতাবাদীদের অস্ত্র ও সমর্থন দিয়ে উপত্যকাকে অশান্ত করে রাখার অভিযোগ রয়েছে ভারতের। এরই মধ্যে পাকিস্তানের সেনাপ্রধান এমন দৃঢ় মন্তব্য কার্যত ভারতের দাবিতে সিলমোহর লাগিয়ে দিল।
ভারতের মতে, দু’টি কারণে এভাবে মন্তব্য করেছেন রাহিল শরিফ। প্রথমত, কাশ্মীর প্রশ্নে আন্তর্জাতিক মহলে পাত্তা না পাওয়া। কারণ, কাশ্মীরের চলমান সংকট নিরসনে জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনকে চিঠি লিখে হস্তক্ষেপের দাবি জানিয়েছে পাকিস্তান। একইসঙ্গে ২২টি দেশেও চিঠি পাঠিয়ে একই দাবি করেছে। আন্তর্জাতিক মহলে অবশ্য তাতে চিড়ে ভেজেনি। উল্টো মার্কিন পররাষ্ট্র বিভাগ ২৬/১১ এর হামলার বিষয়ে সব তথ্য জানাতে বলেছে পাকিস্তানকে।
দ্বিতীয়ত, স্বাধীনতা দিবসের অনুষ্ঠানে বেলুচিস্তানের প্রসঙ্গে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।এরপর থেকেই সরব হয়েছেন বালুচ স্বাধীনতাকামীরা।
এসব কারণেই পাকিস্তানের সেনাবাহিনীকে চাঙ্গা করতেই কাশ্মীর নিয়ে এমনই মন্তব্য করলেন রাহিল শরিফ। তার কথায়, ‘বুলেট দিয়ে কাশ্মীর ইস্যুর সমাধান করা যাবে না। এর বদলে তাদের কথা শুনতে হবে। তবেই কাশ্মীর সমস্যার সমাধান হবে। তবে পাকিস্তান কখনই কাশ্মীর প্রশ্নে পিছিয়ে আসব না’।
এদিকে, বেলুচিস্তানে অশান্তির পেছনে ভারতীয় গোয়েন্দাদের হাত রয়েছে বলে আগে থেকেই অভিযোগ পাকিস্তানের। এ ইস্যুতে রাহিল বলেন, ‘আমরা শত্রুর উদ্দেশ্য জানি। আমরা যেমন বন্ধুকে চিনি, তেমনই শত্রুকেও। প্রচলিত ও অপ্রচলিত দু’ভাবেই যুদ্ধ করতে প্রস্তুত আমরা। আমাদের প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা সবসময় শক্তিশালী ছিল। এখন তা দুর্ভেদ্য’। ভারতীয় গোয়েন্দাদের আশঙ্কা, পাকিস্তানের এমন হুঁশিয়ারের ফল দেখা যাবে সীমান্তে। সম্পাদনা : রিকু আমির ও ফয়সল