ফায়ার সার্ভিস সদর দফতর যাবে মিরপুরে জাইকার অর্থায়নে ভূমিকম্প সহায়ক ১০ তলা ভবন
রিকু আমির : গুলিস্তানে অবস্থিত ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদফতরের সদর দফতর মিরপুর ১০ নম্বরে স্থানান্তর হবে। বর্তমানে সেখানে রয়েছে- ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের ট্রেনিং কমপ্লেক্স। এটি ভেঙে ১০ তলাবিশিষ্ট ভূমিকম্প সহায়ক ভবন নির্মাণ করা হবে। এ ভবনই হবে অধিদফতরের সদর দফতর। অন্যদিকে, সক্ষমতা বাড়াতে ঢাকা জেলার মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের নয়টি স্টেশন সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন করা হবে।
সূত্রমতে, জাপান বাংলাদেশ কো-অপারেশন এজেন্সির (জাইকা) দশমিক শূন্য এক শতাংশ হারে ঋণ সহায়তায় শিগগিরই এসব কাজ শুরু হবে। ভবনের নিরাপত্তা বৃদ্ধি করে সামাজিক ঝুঁকি উন্নয়নের লক্ষ্যে জাইকার সহায়তায় ‘আরবান বিল্ডিং সেফটি প্রজেক্ট (ইউবিএসপি)’ শীর্ষক প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। সরকারি (জিওবি) তহবিলসহ এ প্রকল্পের মোট তহবিলের আকার এক হাজার ৪০৩ কোটি ১০ লাখ ইয়েন। বাংলাদেশি টাকায় এর পরিমাণ প্রায় ৯৮২ কোটি ১৭ লাখ টাকা (প্রতি ইয়েন ৭০ পয়সা ধরে)। এর মধ্যে জাইকার ঋণ সহায়তা এক হাজার ২০৮ কোটি ৬০ লাখ ইয়েন। আর বাংলাদেশ সরকারের অংশ বাকি ১৯৪ কোটি ৫০ লাখ ইয়েন।
এ তহবিল থেকে ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বাড়াতে ভূমিকম্প-সহায়ক প্রধান কার্যালয় নির্মাণ, ৯টি ফায়ার স্টেশন সম্প্রসারণ ও আধুনিকায়ন এবং ৩টি আধুনিক অগ্নিনির্বাপক যন্ত্রপাতি কিনতে প্রকল্প হাতে নেওয়া হয়েছে। এ জন্য ৫৭১ কোটি ৭২ লাখ টাকার তহবিল গঠন করা হয়েছে। এ তহবিলের সম্পূর্ণ টাকায় ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা উন্নয়নে খরচ করা হবে। এর মধ্যে জাইকার ঋণ সহায়তার অংশ ৪৭৪ কোটি ৪১ লাখ ৫৬ হাজার টাকা। বাকি টাকা সরকারের অংশ থেকে নেওয়া হবে। প্রথমে এ প্রকল্পের মেয়াদ ধরা হয়েছিল ২০২২ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত। তবে জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) প্রকল্পের মেয়াদ কমিয়ে ২০২০ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, ১০ তলাবিশিষ্ট প্রধান কার্যালয়ের বিশেষ বৈশিষ্ট্য হবে, যে কোনো দুর্যোগপূর্ণ অবস্থায় সক্রিয় থাকা। এমনকি বিদ্যুৎ না থাকলেও ফায়ার সার্ভিসের প্রধান কার্যালয় সক্রিয় থাকবে। অত্যাধুনিক এ প্রধান কার্যালয় গড়ে তুলতে খরচ হবে ২৪৭ কোটি ৫১ লাখ ৫১ হাজার টাকা। আর মিরপুর ১০ নম্বরে বর্তমানে অবস্থিত ট্রেনিং কমপ্লেক্স ঢাকা শহরের বাইরে নেওয়া হবে।
ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের একজন পরিচালক এ প্রতিবেদককে বলেন, দুর্যোগের বিরুদ্ধে যারা লড়বে সবার আগে, তারাই যদি অরক্ষিত থাকে, কীভাবে হবে? এজন্য ফায়ার সার্ভিসের সক্ষমতা বৃদ্ধি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এ প্রকল্প বাস্তবায়ন হলে ফায়ার সার্ভিস অনেক শক্তিশালী হবে। সম্পাদনা : সৈয়দ নূর-ই-আলম